×

সারাদেশ

৭৪ বছরেও মেলেনি ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনের স্বীকৃতি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৪:১৩ পিএম

৭৪ বছরেও মেলেনি ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনের স্বীকৃতি

ছবি: সংগৃহীত

৭৪ বছরেও মেলেনি ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেনের স্বীকৃতি

ছবি: সংগৃহীত

আনোয়ার হোসেনকে ১৯৪৯ সালে খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র থাকা অবস্থায় ভাষার জন্য আন্দোলন সংগ্রামের মিছিল থেকে পাকিস্তানি জান্তারা গ্রেপ্তার করে। পরে ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে আনোয়ার হোসেনসহ সাতজন রাজবন্দীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ৭৪ বছরেও তার সেই আত্মদানের রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি মেলেনি।

শহীদ ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৩০ সালে নানার বাড়ি বুধহাটা গ্রামে আনোয়ার হোসেন জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম ছিল কনুই গাজী ও মায়ের নাম ছিল পরীজান বিবি। তিন ভাইয়ের মধ্যে আনোয়ার হোসেন ছিল সবার বড়। মেধাবী আনোয়ার হোসেন বাড়ি সংলগ্ন বুধহাটা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। পরে বুধহাটা বি.বি.এম কলেজিয়েট বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার একপর্যায়ে তিনি খুলনা জেলা স্কুলে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৪৬ সালে এসএসসি পাস করেন।

[caption id="attachment_407757" align="alignnone" width="1411"] ছবি: সংগৃহীত[/caption]

তিনি খুলনার বিএল কলেজে পড়াশুনাকালীন ভাষা আন্দোলনে যোগ দেন। তরুণ আনোয়ার হোসেন আন্দোলনের একপর্যায়ে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ খুলনার তৎকালিন গান্ধী পাকে (বর্তমানে হাদিস পার্ক) ভাষা আন্দোলনের পক্ষে ইস্তেহার পাঠ করার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। কয়েকদিন পর তিনি মুক্তি পান। পরে ভাষা আন্দোলনের মিছিল থেকে ১৯৪৯ সালে পুলিশ তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে প্রথমে তাকে কোতয়ালী থানায় রাখা হয়।

পরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাজশাহী কারাগারে। সেখানে পাকিস্তান সরকারের নির্যাতন ও নিপীড়ণের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা রাখেন আনোয়ার হোসেন। একপর্যায়ে ১৯৫০ সালে ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলে খাপড়া ওয়ার্ডে গুলি চালানো হয়। তাতে সাতজন কারাবন্দি নিহত হন। তার মধ্যে ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন ছিলেন অন্যতম। মাতৃভাষা রক্ষার আন্দোলনে ভাষা সৈনিক আনোয়ার হোসেন দেশের প্রথম শহীদ এমনটাই দাবি আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি ও তার পরিবারের।

আনোয়ার হোসেন স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি সচ্চিদানন্দ দে সদয় বলেন, ভাষা শহীদ আনোয়ার হোসেনকে দেশের প্রথম ভাষা শহীদদের স্বীকৃতির দাবিতে আমরা কাজ করছি, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন ও আশাশুনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়ানুর রহমানের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আগমী ১৯ ফেব্রুয়ারি তার জন্মভূমি সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার বুধহাটাতে একটি মানববন্ধন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরাবর পুনরায় স্মারকলিপি পেশ করা হবে বলেও তিনি জানান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App