×

সারাদেশ

হাওরে ফলস রক্ষা বাঁধের কাজ ৬৫ ভাগ সম্পন্ন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৫:২৪ পিএম

হাওরে ফলস রক্ষা বাঁধের কাজ ৬৫ ভাগ সম্পন্ন
হাওরে ফলস রক্ষা বাঁধের কাজ ৬৫ ভাগ সম্পন্ন

ছবি: ভোরের কাগজ

শান্তিগঞ্জ উপজেলা কাবিটা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ৯১টি ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ বাস্তবায়ন করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এর অনুকূলে ১৭ কোটি ৫ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বাঁধের কাজ ১৫ ডিসেম্বর শুরু হয়ে ২৮শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ হবার কথা রয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তারা জানান, শান্তিগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন হাওরে ৯১টি প্রকল্পের সার্বিক বিবেচনায় মাটির কাজ প্রায় ৬৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই উপজেলার প্রতিটি প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখতে হবে। তবে পিআইসি কমিটির লোকজন অর্থ সংকটেও ভুগছেন, তাদের কাজ অনুযায়ী আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ২য় কিস্তির টাকা ছাড় দিতেও জানান বক্তারা।

মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা কাবিটা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনোয়ার উজ জামানের সভাপতিত্বে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রানী তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিতাংশু শেখর ধর, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোহাইল হায়দার, মৎস্য কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার আতাউর রহমান, পূর্ব বীরগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান রাইজুল ইসলাম, জয়কলস ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল বাছিত সুজন, পূর্ব পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুক মিয়া, পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দারসহ প্রমুখ।

আলোচনা সভায় শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা কাবিটা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন মনিটরিং কমিটির সভাপতি আনোয়ার উজ জামান বলেন, আমাদের উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯১টি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। শুরু থেকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সঙ্গে প্রতিটি এলাকায় মাইকিং করে প্রকৃত কৃষকদের নিয়ে গণশুনানি করে পিআইসি কমিটি গঠন করেছি। দিনরাত আমাদের মনিটরিং টিম বাঁধে কাজ করছেন। এই পর্যন্ত আমাদের প্রায় ৬৫ ভাগ মাটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। নির্ধারিত সময়ে বাঁধের কাজ সম্পন্ন করতে আমাদের যা যা করা প্রয়োজন আমরা করবো। বাঁধের কাজে কোন ছাড় দেয়া হবে না। অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা নেয়া হবে। ইতিমধ্যে আমার ৪টি পিআইসির সভাপতিকে মোবাইল কোর্টে জরিমানা করেছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App