×

সারাদেশ

গোয়াইনঘাটে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৮৬৮৫ হেক্টর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১০:৩৬ পিএম

গোয়াইনঘাটে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৮৬৮৫ হেক্টর

ছবি: ভোরের কাগজ

শীত উপেক্ষা করে চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষক

শৈত্যপ্রবাহ ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে গোয়াইনঘাট উপজেলার বারোটি ইউনিয়নে ইরি-বোরো আবাদের ধুম পড়েছে। বেশ কয়েক বছর ধরে কৃষক ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় এবং সর্বশেষ এবারের আমন মওসুমে ধানের দাম ও ফলন ভাল হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা অধিক পরিমাণ জমিতে ধান আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

প্রয়োজনীয় বীজতলা তৈরির পর শীত ও হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে কৃষকেরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চাষাবাদ ও ধান রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের পরিশ্রমেই প্রাকৃতিক সম্ভারে সমৃদ্ধ গোয়াইনঘাট উপজেলা কৃষিতে সম্ভাবনাময় হয়ে উঠছে।

সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায়, ভোর থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত মনের আনন্দে কৃষকরা বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন। হাওর, বাওর, আমন ফসলের মাঠ ছাড়াও অনাবাদি পরিত্যক্ত খাল-বিলেও ধান রোপণ করা হচ্ছে। সেচ দেয়া, সার দেয়া, আইল কাটা, চারা তোলা, মই দেয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন জাতের ধান রোপণের মহোৎসব চলছে।

দিগন্ত জোড়া মাঠের পর মাঠ হয়ে উঠছে সবুজের হাঁট। ভালো দাম পাওয়ার আশায় ক্লান্তির কথা ভুলে সোনালী ধানের মাঝে স্বপ্ন বুনছেন উপজেলার কৃষকেরা। বসে নেই কৃষাণীরাও। ভর দুপুরে খাবার নিয়ে জমির আইলে হাজির। সঙ্গে এনেছেন পান,সুপারিও। কেউ কেউ আবার হাঁটু পর্যন্ত কাদা মেখে কাজে সহায়তা করছেন। পড়ন্ত বিকেলে জমির আইলে দাঁড়িয়ে মিষ্টি রোদের মিতালীতে কৃষকের দু হাতের শৈল্পিকতার চমক অবাক দৃষ্টিতে দেখছে মানুষ।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার গোয়াইনঘাটে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ৮৬৮৫ হেক্টর, বীজতলা তৈরি হয়েছে ৫২৮.০২ হেক্টর জমিতে। এখন পর্যন্ত বোরো রোপণ হয়েছে ২৩৭০ হেক্টর জমিতে। তার মধ্যে হাওর শ্রেণির জমিতে ১৮৬০ হেক্টর ও হাওর বহির্ভূত জমিতে ৫১০ হেক্টর জমিতে রোপণ করা হয়েছে বোরো ধান। ব্রি-২৮, ব্রি-২৯সহ বিভিন্ন জাতের বন্যা ও দুর্যোগ সহনীয় জাতের ধান রোপণ করা হচ্ছে সর্বত্র।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি জানান, গোয়াইনঘাটে বোরো ধান রোপণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৬৮৫ হেক্টর, বীজতলা তৈরি হয়েছে ৫২৮.০২ হেক্টর জমিতে। প্রতিটি ইউনিয়নে উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের রয়েছে নিবিড় পর্যবেক্ষণ ও তদারকি।

তিনি জানান, প্রান্তিক ও দরিদ্র কৃষকদের মধ্যে ইতিপূর্বে সরকারের বরাদ্দকৃত বীজ ও সার কৃষকদের মাঝে দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে কৃষি আবাদ বাড়াতে প্রয়োজনীয় পরামর্শসহ কৃষি প্রণোদনা দিয়ে আসছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ অঞ্চলে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হবে। এতে কৃষকরা অধিক লাভবান হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App