১৫ দিনের মধ্যে উৎপাদনে ফিরছে রামপাল
কাগজ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৯:১৯ এএম
ফাইল ছবি
রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হতে আরো ১৫ দিন সময় লাগবে। গত ১৪ জানুয়ারি ডলার সংকটের জেরে কয়লা আমদানি না হওয়ায় রামপাল তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের কর্মকর্তারা বলছেন, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য আবারো কয়লার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানাম পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি এস পাইনেল’ নামের একটি জাহাজ ইন্দোনেশিয়া থেকে ৩৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে বাংলাদেশের পথে রয়েছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই জাহাজটি মোংলায় পৌঁছবে। মোংলা বন্দর থেকে লাইটারেজ হাজারের মাধ্যমে কয়লা প্রকল্প এলাকায় নেয়া হবে। এই কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে প্রথম ইউনিট আবারো বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে।
গত ১৪ জানুয়ারি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর মাত্র ২৭ দিনের মাথায় কয়লা সংকট দেখা দেয়। এখন পর্যন্ত উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহও বন্ধ রয়েছে। একদিকে ডলার সংকট চরম আকার ধার? করায় এবং ইন্দোনেশিয়া কয়লা ছাড় বন্ধ রাখায় নিয়মিত কয়লা আনা সম্ভব হয়নি। এখন ইন্দোনেশিয়া সরকার আবার কয়লা ছাড়তে শুরু করেছে। এলসি খোলার পর এখন নিয়মিত কয়লা আসতে থাকবে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইদ একরাম উল্লাহ বলেন, ডলার সংকটের কারণেই সময়মতো কয়লা আমদানি করা যায়নি। কয়লা না থাকায় উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তবে চলতি সপ্তাহের মধ্যেই কয়লার জাহাজ মোংলায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। জাহাজ পৌঁছানোর পর কয়লা খালাশ করতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। কয়লা সরাসরি রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে চলে যাবে। এই কয়লা ব্যবহার করেই আমরা আবারো বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবো। আগামীতে আর কয়লার সংকট হবে না।
বাগেরহাট জেলার রামপালে দুই ইউনিট বিশিষ্ট ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণ প্রক্রিয়া ২০১৭ সালে শুরু হয়। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে প্রথম ইউনিট চালু হয়। আগামী জুন মাসে দ্বিতীয় ইউনিট উৎপাদনে আসবে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।