কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ইভটিজিংয়ের অপরাধে দুই যুবককে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রবিবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেল পৌনে তিনটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১৮৬০ সালের আইনে ৫০৯ ধারায় ইভটিজিং এর অপরাধে শাস্তি প্রদান করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা।

কারাদণ্ড প্রাপ্তিরা হলো, কুলিয়ারচর পৌরশহরের কৌতেরকান্দি মহল্লার ফেরদৌস মিয়ার ছেলে পাভেল (১৮) ও একই মহল্লার করিম মিয়ার ছেলে মো. নাঈম (১৮)। পেশায় দুইজনই জুতার কারিগর।

জানা যায়, রবিবার ২৯ জানুয়ারি সকালে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত কুলিয়ারচর পৌরশহরের মুছা মিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথিমধ্যে ৪/৫ জন যুবক দ্বারা ইভটিজিং এর শিকার হন দশম শ্রেণির ছাত্রী। পরে স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে পুরো ঘটনাটি জানান ওই ছাত্রী। ঘটনা শোনার পর ছাত্রদের পাঠালে দুইজন ইভটিজারকে ধরে আনেন শিক্ষার্থীরা। বাকিরা পালিয়ে যান।

পরে ছাত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী এ দুজনই প্রধান ইভটিজার হিসেবে নিশ্চিত হন প্রধান শিক্ষক। পরে তাদেরকে আটক করে তিনি বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কে জানালে তৎক্ষণাৎ স্কুলে হাজির হন তারা।

এ ঘটনায় ছাত্রীর বক্তব্য আর অভিভাবকদের উপস্থিতিতে আটককৃতদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন থানা পুলিশ। পরে ইভটিজারদের দোষ স্বীকার অনুযায়ী ইভটিজিং এর অপরাধে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও)।

এ ঘটনায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা ইভটিজিং এর শিকার ছাত্রীর সাহসী ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ইভটিজিং ইদানিং বেশি পরিমাণে বেড়ে গেছে। তিনি বলেন কিছুদিন আগে এ উপজেলায় ইভটিজিং এর বিচার দেয়ায় কৃষককে হত্যার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে ইভটিজিং এর অপরাধে দুই ইভটিজারকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

এ বিষয়ে কুলিয়ারচর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দন্ডপ্রাপ্তদের সাজা ভোগ করার জন্য কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।