×

সারাদেশ

সলঙ্গা বিদ্রোহের ১০১ বছর পালন

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ০৩:১২ পিএম

সলঙ্গা বিদ্রোহের ১০১ বছর পালন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ১০১তম সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস পালিত হয়েছে। সলঙ্গা সমাজকল্যাণ সমিতি ও মওলানা তর্কবাগীশ পাঠাগারের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র‌্যালি, আলোচনা সভা ও শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া মাহফিল করা হয়েছে। র‌্যালিটি সলঙ্গা সমাজকল্যাণ সমিতি ও মওলানা তর্কবাগীশ পাঠাগার থেকে শুরু করে থানার সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পাঠাগারে এসে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে এক আলোচনা সভায় সমাজকল্যাণ সমিতি ও মওলানা তর্কবাগীশ পাঠাগারের সহসভাপতি গজেন্দ্রনাথ মণ্ডলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান নান্নুর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- সলঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ রায়হান গফুর, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান লাভু, থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মারুফ হাসান খোকন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন-সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদুল ইমলাম ফরিদ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান খান, ক্রীড়া সম্পাদক ফারুক হায়দার, সদস্য আহসান হাবিব, আমিনুল ইসলাম হেলাল, সলঙ্গা অনলাইন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশের নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা বিলেতি পণ্য কেনাবেচা বন্ধ করতে সলঙ্গা হাটে প্রচারণা চালায়। স্বদেশী আন্দোলন বন্ধ করতে পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্র্রেটের নেতৃত্বে ৪০ জন সশস্ত্র লাল পাগড়িওয়ালা পুলিশ ছুটে আসে এবং মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশকে গ্রেপ্তার করে। এতে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেন সলঙ্গার সংগ্রামী জনতা। জনতার ঢল ও আক্রোশ দেখে ম্যাজিস্ট্র্রেট জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গুলি চালাতে নির্দেশ দেয়। শুরু হয় নির্বিচারে গুলি। গুলিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার সাধারণ মানুষ প্রাণ হারায়। তবে বেসরকারি মতে ১০ হাজারেরও বেশি সাধারণ মানুষ মারা যায়। এরপর থেকে দিনটিকে সলঙ্গা বিদ্রোহ দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App