×
Icon এইমাত্র
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামীণ কল্যাণের ৬৬৬ কোটি টাকা কর ফাঁকি মামলার শুনানি চলছে

সারাদেশ

শেরপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম

শেরপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা

ছবি: ভোরের কাগজ

শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার দীঘিরপাড় এলাকার অর্ধশত কৃষকের ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা। ফসলি জমি থেকে ৩/৫ ফুট গর্ত করে অবাধে মাটি কেটে নেয়ায় চাষাবাদ অযোগ্য হয়ে পরেছে জমিগুলো।

জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পুর্বে দীঘিরপাড় এলাকায় মহারশি নদী ভাংগনের কবলে পড়ে অর্ধশত কৃষক। ভাঙ্গন কবলিত এলাকার জমিগুলো কৃষকদের নামে সিএস, আরও আর মালিক হলেও নদী ভাঙ্গনের ফলে বিআরএস রেকর্ড হয় সরকারের নামে।

পরবর্তীতে আবারো জমিগুলো জেগে উঠে। নদীভরাট হয়ে গেলে,ওই জমির মালিকরা জমিগুলো চাষাবাদ শুরু করে। উক্ত জমি চাষাবাদ করে পরিবারের সদস্যদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। গত কয়েক দিন ধরে স্থানীয় কতিপয় প্রভাশালী ব্যক্তি মহারশি নদীর বালু মহলের ইজারাদার ও প্রশাসনের যোগসাজশে ওই সব ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

বেকু দিয়ে অবাধে কেটে নেয়া হচ্ছে মাটি। কোন বাধা নিষেধও মানছেন না তারা। ফসলি জমি থেকে অবাধে মাটি কেটে নেয়ায় জমিগুলো চাষাবাদের অনুপযোগী হয়ে পরছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে কৃষকরা। শুধু তাই নয় মাহিন্দ্র যোগে এসব মাটি পরিবহনের ফলে দীঘিরপাড় থেকে ঝিনাইগাতী সদর পর্যন্ত ২ কিলোমিটার কাচা রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পরেছে।

দীঘিরপাড় গ্রামের কৃষক আমিনুল ইসলাম, নাজিমুল, আইজ উদ্দিন, আসাদুল,আক্রাম হোসেন, দুলাল মিয়া, রহুল আমিন,মজিবর রহমান,আশরাফ আলী জানান, তাদের জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের বাধা নিশেষ ও কোন উজর আপত্তি কিছুই মানছেন না তারা।

স্থানীয় প্রশাসনের জ্ঞাতসারেই বেকু দিয়ে অবাধে এসব মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ কৃষকের। বালু মহালের ইজারাদার নিয়ম অনুযায়ী বালু উত্তোলন করার কথা নদী থেকে। কিন্তু ইজারাদারের লোকজন নিয়মনীতির প্রতি তোয়াক্কা না করে সমতল ভুমি কৃষকদের ফসলি জমির মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। কৃষকরা তাদের জমির উপর থেকে মাটি কাটা বন্ধের বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ ও দায়ের করেন বলে জানান কৃষকরা। কিন্তু এর পরেও তাদের জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধ হয়নি। কৃষকরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদের সঙ্গে কথা হলে তিনি ফসলি জমি থেকে মাটি কাটা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।

কিন্তু গত ২ দিনেও মাটি কাটা বন্ধ হয়নি। এব্যাপারে শেরপুরের জেলা প্রশাসক সাহেলা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি এ বিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App