×

সারাদেশ

শিবালয় থানায় ধর্ষণ মামলা, ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ পলাতক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ০১:১৩ পিএম

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া অবিবাহিতা এক ছাত্রী (১২) ধর্ষণের শিকার হয়ে এক শিশুকন্যা প্রসব করে।

স্থানীয়রা জানান, দরিদ্র পরিবারের মেয়েটি এক চরিত্রহীন বৃদ্ধ লোকের ধর্ষণের শিকার হয়ে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। প্রাথমিক পর্যায়ে লোকলজ্জার ভয়ে মেয়েটির পরিবার বিষয়টি নিজেদের মধ্যে গোপন রাখেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই মেয়ের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তার পরিবারের লোকজন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান, সে গর্ভবতী।

এ বিষয়ে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে শিবালয় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। গত ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে ধর্ষিতা মেয়েটি একটি কন্যাশিশু প্রসব করে।

থানা সূত্রে জানা যায়, নাবালিকাকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ ( সংশোধনী /০৩) এর ৯(১) ধারায় ১২ সেপ্টেম্বর,২০২২ শিবালয় থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

মামলার এজাহারে প্রকাশ, গত এপ্রিল মাসের ১০ তারিখ দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধ আব্দুল হালিম পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক নাবালিকা ছাত্রীকে খাবার প্রলোভন দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। ওই সময়ে মেয়েটি চিৎকার করলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখানো হয়। অভিযুক্ত শিবালয় উপজেলার উলাইল ইউনিয়নের ভাকলা গ্রামের মৃত, শের আলীর ছেলে।

ধর্ষিতার পিতা প্রতিবেদককে জানান, আব্দুল হালিম(৬৫) নামের এক চরিত্রহীন লোক জোরপূর্বক আমার মেয়ের সর্বনাশ করেছে। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই।

অভিযুক্ত আব্দুল হালিমের স্ত্রী ফুলবুরু (৬০) জানান, এই ঘটনার পর ওই মেয়ের আত্মীয়স্বজন আমার স্বামীকে মানিকগঞ্জের সেওতা এলাকায় আটক করে রেখেছিল। তখন মেয়ের বাবাকে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমার স্বামীকে তাদের হাত থেকে ছাড়িয়ে এনেছি। পরদিন থেকেই আমার স্বামী নিরুদ্দেশ। আজ পর্যন্ত আমরা তার কোনো সন্ধান জানিনা।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শিবালয় থানার সাব-ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) মো. হাবিবুর রহমান খন্দকার বলেন, আমরা এখনও আসামিকে আটক করতে পারিনি। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। বাচ্চার ডিএনএ পরিক্ষা করা জন্য এখন ঢাকা আছি। কবে নাগাদ এই রিপোর্ট পাওয়া যাবে প্রশ্নে তিনি জানান, এ বিষয়ে সিআইডি ভালো বলতে পারবেন।

এই কর্মকর্তার কাছে মামলার এজাহারের একটি কপি চাইলে তিনি বলেন, আমি কোন কপি দিতে পারবোনা। আপনার যদি প্রয়োজন হয় জিআরও থেকে কপি সংগ্রহ করেন।

শিবালয় থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহানুর এ আলম দৈনিক ভোরের কাগজকে জানান, অভিযুক্ত আসামি মোবাইল ফোন ব্যবহার না করায় আমরা এখন পর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। তবে, আশা করছি অতিদ্রুত আমরা তাকে আটক করতে সক্ষম হবো। আমরা বাচ্চার ডিএনএ রিপোর্ট সংরক্ষণে রাখবো। অভিযুক্ত আটক হলেই তার ডিএনএ পরিক্ষা করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App