×

সারাদেশ

পুকুর খননে জলাবদ্ধতায় হাজারো আবাদি জমি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০৩:৩৭ পিএম

পুকুর খননে জলাবদ্ধতায় হাজারো আবাদি জমি

ছবি: ভোরের কাগজ

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে জলাবদ্ধতায় হাজারো কৃষকের আবাদি জমি। গত বছরেও যে সমস্ত জমিতে তিন ফসলের চাষাবাদ হতো এখন তা নিহাতিক স্বপ্ন ছাড়া কিছুই না।

বর্ষার পানি আজ থেকে ২মাস আগে নেমে গেলেও পানি নিষ্কাশনের জন্য সঠিক ব্যবস্থা না থাকায় পানির নিচে এখনো প্রায় ৩ হাজার বিঘার অধিক জমি। অথচ এই জমি গুলোতেই গত বছর এই সময়ে বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে ছিল হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ।

সরিষার মৌসুম শেষ হতে না হতেই আবার শুরু হতো ইরিধানের মৌসুম। ধান কাটার সঙ্গে সঙ্গে আবারো চাষ করে বর্ষার প্রস্তুতি নিয়ে বোনা হতো রোপা আমন। কিন্তু বর্ষার পানি নিষ্কাশনের নালা অর্থাৎ ব্রীজের মুখ বন্ধ করে পুকুর খনন করায় পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে। এছাড়াও যত্রতত্র অপরিকল্পিত পুকুর খননের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে দরিদ্র সাধারন কৃষক।

মানববন্ধন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ২শ কৃষকের স্বাক্ষরিত লিখিত অভিযোগ দিয়েও মেলেনি কোনো প্রতিকার। এবছরেও থেমে নেই পুকুর খনন। উপজেলা ঘুড়ে দেখা যায় মালিপাড়া, গোবরপাড়া, বিরইল, ভায়াট, সান্তান, কালিদাসনিলী, পংরৌহালী, হামকুড়িয়া, শ্রীকৃষ্ণপুর, মঙ্গলবাড়িয়া, চক ভায়াট, বোয়ালিয়া, শোলাপাড়া, দেশীগ্রাম ইউনিয়নের কিছু অংশেসহ তাড়াশ পৌরসভা এলাকার কাউরাইল, জাহাঙ্গীরগাতী, তাড়াশসহ আরও অনেক স্থানে চলছে পুকুর খননের মহোৎসব। বিশেষ করে পরিলক্ষিত হয় তাড়াশ উপজেলা পরিষদ থেকে মাত্র ৫শ মিটার পূর্বে কাউরাল এলাকায় দিনে-দুপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় কয়েকশ বিঘা পুকুর খনন ও মাটি বিক্রি চলছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগকারী আব্দুর রউফ, আব্দুল জব্বারসহ আরও ভূমির মালিকদের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগসহ বিভিন্ন ভাবে বাধা দিয়েও কোনভাবেই এই ব্রীজের মুখ বন্ধ করে পুকুর খনন ঠেকানো সম্ভব হয়নি। তাছাড়া ফসলী জমিগুলো এখনো পানির নিচে। তাহলে আমরা চাষাবাদ করবো কবে আর খাব কি। এভাবে পুকুর খনন চলতে থাকলে আমাদের আগামী বছরে না খেয়ে মরতে হবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবীদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, নিচু জমি ও যে জমিগুলো বছরের অধিকাংশ সময় পানির নিচে থাকে সেই সকল জমিতে পুকুর খনন চলছে। আর পুকুর খননের বিষয়ে যদি কেউ অভিযোগ দেয় তবে আমরা তা উপজেলা নির্বাহী মহোদয় বরাবর অবগত করে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি।

পুকুর খননের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবাউল করিম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ভোরের কাগজ কে জানান, আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছি। আজকেও আমি আপনাদের মাধ্যমে খবর পেয়ে উপজেলা প্রসাশন থেকে লোক পাঠাই এবং আমি কিছু কিছু যায়গায় নিজেও যাই তাতে দেখা যায় ভেকু চালক আমাদের দেখে পালিয়ে যায়। তবুও আমাদের অভিযান অব্যহত আছে। আর আপনারা যেখানেই সংবাদ পাবেন অবশ্যই আমাদের জানাবেন আমরা সেখানে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App