×

সারাদেশ

নাব্য সংকটে পদ্মায় আটকা জাহাজে চাঁদাবাজি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:৩৮ পিএম

নাব্য সংকটে পদ্মায় আটকা জাহাজে চাঁদাবাজি

ছবি: সংগৃহীত

রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় নাব্য সংকটে পদ্মা নদীতে পণ্যবাহী জাহাজ আটকা পড়ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় এসব জাহাজ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। চাহিদামতো চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মারধরের শিকার হচ্ছেন জাহাজের লোকজন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, দৌলতদিয়া-বাঘাবাড়ী নৌপথে নাব্য সংকটের কারণে কয়েকদিন ধরে কার্গো জাহাজ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পাথর, কয়লা, গম ও সারসহ বিভিন্ন পণ্যবোঝাই জাহাজগুলো চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর থেকে ছেড়ে এসে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আটকা পড়ছে। পরে এখান থেকে আংশিক পণ্য খালাস করে ছোট কার্গো বা ট্রলারে বাঘাবাড়ি পাঠানো হচ্ছে। এরপর লোড কমিয়ে কার্গোগুলো বাঘাবাড়ির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে।

পণ্যবাহী প্রতিটি জাহাজকে অন্তত এক সপ্তাহ আটকে থাকতে হয়। এই সুযোগে স্থানীয় প্রভাশালী জনপ্রতিনিধির ছত্রচ্ছায়ায় একটি গ্রুপ ট্রলারে গিয়ে আটকে থাকা জাহাজে বিভিন্ন অংকের চাঁদা দাবি করছে। এক্ষেত্রে তারা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চ্যানেল চার্জের নামের রশিদ দিচ্ছে।

গত রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ কার্গো নামে পণ্যবোঝাই জাহাজের চালক মো. ইরশাদ আলীকে মারধর করে নদীতে ফেলে দেয় চাঁদাবাজরা। পরে সহকর্মীদের সহযোগিতায় তিনি আবার জাহাজে উঠতে সক্ষম হন।

অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, শুষ্ক মৌসুম শুরুর দিকে গত কয়েক বছর ধরে পদ্মা নদীর দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় নাব্য সংকট দেখা দেয়। যে কারণে প্রতি বছর এখানে আটকা পড়ে পণ্যবাহী জাহাজ। দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় আটকে থাকা জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে প্রতি টনে ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা শ্রমিক খরচ দেওয়া হয়। একেকটি জাহাজ থেকে অন্তত ২৫০ টন মালামাল খালাস করা হয়ে থাকে। জাহাজ মালিকদের কাছ থেকে চুক্তিতে পণ্য খালাসের কাজ করেন শ্রমিকরা। পারিশ্রমিক দেওয়ার পর উল্লেখযোগ্য একটি অংশ লাভ থাকে ওই শ্রমিকদের। এই লভ্যাংশ নিজেদের করতেও স্থানীয় একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। বিগত বছরে এই নিয়ন্ত্রণ নিয়েও নদীতে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App