সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় আকষ্মিক ঘুর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে শতাধিক ঘরবাড়ি। সোমবার ( ১৬ অক্টোবর ) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার পাথারিয়া ইউনিয়নের দরগাহপুর ও আসামমুড়া গ্রামে এসব ঘরবাড়ি ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। ফলে চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে পরিবারগুলো। ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে যায়গা হয়েছে এসব পরিবারের।

সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঝড়ের কবলে সবকিছু লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে আছে। যেদিকেই থাকানো যায় শুধুই বিধস্ত ঘরবাড়ির চিত্র। অনেক নিম্নআয়ের পরিবার ঘরবাড়ি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের একমাত্র বসতঘর তছনছ হয়ে যাওয়ায় খোলা আকাশের নিচেই আছেন তারা। কেউ কেউ কান্না করছেন। আহাজারি করে বলছেন কষ্টের কথা। গতকাল দিবাগত রাতে ব্যাপক ঝড় শুরু হয়। এই ঝড়ে শতাধিক ঘর বাড়ির টিনের চাল উড়িয়ে নিয়ে যায়। আবার কারও কারও মাটির বাড়ি ও বাড়ির প্রাচীর ঝড়ে ভেঙ্গে গেছে। এতে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন তারা।

ক্ষতিগ্রস্ত রুহেনা খানম বলেম, ১০ থেকে ১৫ মিনিটের ঝড়ে আমার সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি নিঃস্ব। ঘরে খাবার নাই, থাকার জায়গা নাই। এখন আমি পথের ভিখারি। এভাবে আক্ষেপ করে আরেক ক্ষতিগ্রস্থ আব্দুল হেকিম খান ও সিদ্দিকুর রহমান বলেন, হঠাৎ করে ঝড় শুরু হয়। এরপর ঝড়ের তান্ডবে সবকিছু উড়ে গেছে। ছেলেমেয়ে নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছি। সরকারের সহায়তা ছাড়া বাঁচা অসম্ভব।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ডের খবর পেয়ে ঘটাস্থলে ছুটে যান শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন, এসিল্যান্ড সকিনা আক্তার ও পাথারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। এসময় তারা তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতগ্রস্থদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে আমার ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ি লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। এখন তাদের সহায়তা খুবই প্রয়োজন।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সকিনা আক্তার বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত তাদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

শান্তিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ছুটে এসেছি। ক্ষতিগ্রস্থদের পূনর্বাসনের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।