বিরোধপুর্ণ জমিতে ঘর বাধা নিয়ে সংঘর্ষে শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে শ্যামনগর উপজেলার হাটচালা গ্রামের আবদুর রাজ্জাক গাইন (৬৬) নামে একজন নিহত হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত উভয়পক্ষের তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।

আবদুর রাজ্জাক উপজেলার ভুরুলিয়া ইউনিয়নের হাটচালা গ্রামের মৃত অমেদ আলীর ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ আজিজুল ইসলাম (৪০), নুরজাহান বেগম (২৬), ইয়াকুব হোসেন ও শাহিদা বেগমকে আটক করেছে। প্রথম দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক করা হয়।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, আবদুর রাজ্জাক গাইন ও অলিল তরফদারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বসতভিটার সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল। শনিবার সকালে আবদুর রাজ্জাক ভাড়াটে লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে ঘর বাধার চেষ্টা করে। এ সময় অলিল তরফদার ও তার ছেলে আজিজুলের নেতৃত্বে প্রতিপক্ষের লোকজন বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে আহত দুইপক্ষের তিনজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়।

নিহতের ভাইপো (ভাতিজা) মনির হোসেন জানান, তাদের দখলে থাকা জমির উপর আদালত সম্প্রতি স্থিতিবস্থা জারি করে। শনিবার সেখানে ঘর বাধতে গেলে অলিল তরফদারের জামাই এরশাদেও নেৃতত্বে কৃষ্ণনগর থেকে আসা ২৫ থেকে ৩০ জন লাঠিয়াল তাদের উপর হামলা করে। এ সময় মাথায় হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে জ্ঞান হারানোর পর আবদুর রাজ্জাককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর ডাক্তাররা মৃত ঘোষণা করেন।

অলিল তরফদারের মেয়ে নুরজাহান বেগম জানান, শ্যামনগর থেকে ৩০ থেকে ৩৫ জন ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আবদুর রাজ্জাক, তার ভাই শাহাদত ও রওশন তাদের দখলে থাকা জমিতে ঘর বাধার চেষ্টা করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মিলন হোসেন জানান, জরুরি বিভাগে নেয়ার ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরে আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়। নিহতের শরীওে কোনো মারাত্মক জখম পাওয়া না গেলেও ময়না তদন্তে তার প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক শাহানুর আলম জানান, খবর পেয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পোস্ট মর্টেমের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।