×

সারাদেশ

হাওরে ৯০টি কজওয়ে নির্মাণের ঘোষণা পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০২২, ০১:২২ পিএম

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, আগাম বন্যা মোকাবিলা ও নৌযান চলাচলের জন্য সুনামগঞ্জে দুটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। বছরের শেষের দিকে নদী খনন ও কজওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের কাজ শুরু হতে পারে। এখন সমীক্ষার কাজ চলছে।

বৃহস্পতিবার (২১ এপ্রিল) শান্তিগঞ্জ উপজেলার খাই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব জানিয়েছেন। তিনি বলেন, সুনামগঞ্জের মানুষের জন্য আমরা একটা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আমরা আশা করছি আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরের দিকে কাজ শুরু করতে পারবো। এক হাজার ৫৪৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৪টি নদী ও এর সঙ্গে যত সংযোগ খাল রয়েছে তা খননের জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যার সমীক্ষার কাজ চলছে। সমীক্ষার রিপোর্ট আমরা সেপ্টেম্বরের ভেতরে পাবো। এরপর একনেকে তুলে প্রকল্পটি পাস করাবো।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, নদীপথ দিয়ে নৌচলাচলের জন্য ও ফসল কেটে কৃষক যেন তাদের বাড়িতে নিয়ে যেতে পারে সেজন্য ৯০টি কজওয়ে রাখা হয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে কজওয়ের পয়েন্টগুলো জিও ব্যাগ দিয়ে বন্ধ রাখা হবে। যখন কৃষকের ফসল কাটা শেষ হয়ে যাবে তখন কজওয়েগুলো খুলে দেয়া হবে। এ দুই কাজ শেষ হলে, আগামীতে আগাম বন্যা হলেও তা মোকাবিলা করতে পারবো।

২০১৭ সাল পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারদের মাধ্যমে হাওরের বেড়িবাঁধ নির্মাণকাজ করেছে। তখনকার কাজের সমালোচনা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৭ সালে বাঁধের কাছ থেকেই মাটি উঠিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এর ফলে এখনও বাঁধের এক পাশে গর্ত দেখা যায়। এ গর্তের কারণেই এখন বাঁধ লিক করে ভেঙে যায়। এজন্য নদী খননের মাটি দিয়ে বাঁধের ভেতরের নিচু জমি ভরাট করা হবে। বাঁধও চওড়া করা হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী এস এম শহীদুল ইসলাম, সিলেট অফিসের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল হক, শান্তিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার উজ জামান ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক নূর হোসেনসহ আরও অনেকে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App