দেশের বর্তমান পরিস্থিতি থেকে মুক্তি ও সমাজ পরিবর্তনের জন্য সবাইকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, আমি একা কিছু করতে পারব না। পরিবর্তন ঘটানোর জন্য আমরা সম্মিলিতভাবে রাস্তায় নামতে পারি। আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। নয়তো কারো জীবন সুখের হবে না। কেউ শান্তিতে থাকতে পারবো না।

বুধবার (৩১ মার্চ) বিকেলে ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা কমরেড আলাউদ্দিন আহমেদ স্মরণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভাসানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ভাসানী অনুসারী পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য নঈম জাহাঙ্গীর, কমরেড আলাউদ্দিন আহমেদ বড় ছেলে কামরুল হাসান রঞ্জু, ব্যারিস্টার সাদিয়া আরমান। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জনগণ ধীরে ধীরে ক্ষিপ্ত হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনায় আমার মনে বার বার প্রশ্ন এসেছে, সেখানে সরকারি অফিস কেনো আক্রমণ হলো। থানায় আক্রমণের একটা কারণ দেখতে পারি, তারা লুট করে, রাহাজানি করে, অত্যাচার করে, ঘুষের মাত্রা বাড়ায়। কিন্তু তফসিল অফিস, ম্যাজিস্ট্রেট অফিসে হামলার কারণ হলো তারা সবাই ডাকাত। ২০১৮ সালে এরা ডাকাতি করেছে। ডাকাতির ফসলটা প্রধানমন্ত্রীর ঘরে তুলে দিয়েছেন। তাই জনগণ ক্ষিপ্ত। যখনই সুযোগ এসেছে তখনই তারা মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, আমি কোনভাবেই হেফাজতের বাড়িঘর ভাঙচুর, গাড়ি ভাংচুর সমর্থন করিনা। আমি বারবার বলি সংযত হোন। তবে এখানে দেখতে হবে জনগণ কয়টি পুড়িয়েছে এবং ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মুসাদ ও ভারতের 'র' কয়টি পুড়িয়েছে। তারাই ইন্দন যোগায়।

বিচারপতিদের সমালোচনা করে তিনি বলেন, মাননীয় বিচারপতিগণ আপনাদেরও বিচার হবে। আপনাদের সম্পদেরও হিসাব নেওয়া হবে। কী করে আপনারা জামিন দেন, সেই কাহিনী আমরা জানি, আমরা যে জানি না, তা না। সব জজ সাহেব খারাপ না। ভালো জজ সাহেবরাও আছেন। কিন্তু ওনাদের কমোরে জোর নাই। ভালো মানুষ , চুরি করে না, ঘুষ খায় না। কিন্তু এই ভালো মানুষ দিয়েই কী হবে?

অন্যদের দয়ার উপর রাষ্ট্র গড়বে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজেদেরই গড়তে হবে। আমাদের সাহস নিয়ে আসতে হবে। আমাদের দুঃখের দিন শেষ করতে হবে? তিনি বলেন, হেফাজতকে বলবো ভালো হয়ে যান। আপনারা আওয়ামী লীগের ঘুষের পয়সায় চলবেন না। আওয়ামী লীগ আপনাদের মাথায় তুলেছে, যখন মাথা থেকে ফেলে দিবে তখন আপনারা টের পাবেন। তারা আপনাদের অন্ধকূপে রাখতে চায়। আমরা আলোকিত মাদরাসা চাই।