×

রাজধানী

রানা প্লাজা ট্রাজেডি একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল হোমোসাইড’

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৪৯ পিএম

রানা প্লাজা ট্রাজেডি একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল হোমোসাইড’

ছবি: ভোরের কাগজ

ঢাকার সাভারে ১১ বছর আগে ঘটে যাওয়া রানা প্লাজা ট্রাজেডি একটি ’ইন্ডাস্ট্রিয়াল হোমোসাইড’ (নরহত্যা)। কিন্তু এতদিনেও দায়ীদের কাউকে শাস্তি দেয়া হয়নি। বিচারকাজ শেষ হয়নি।    

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ‘রানা প্লাজার শ্রমিক হত্যার ১১ বছর’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তরা এসব কথা বলেন। দোষীদের দৃষ্টান্ত শান্তি, আহত শ্রমিকদের চিকিৎসা, নিহত শ্রমিকের স্বজন ও আহত শ্রমিকদের স্থায়ী পূর্ণবাসনের দাবিতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এ সভার আয়োজন করেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বাংলাদেশ কাউন্সিল (আইবিসি)।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়নের রিজিওনাল সেক্রেটারি আশুতোষ ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, রানা প্লাজা ধস নিছক দুর্ঘটনা নয়। এটা একটি ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল হোমোসাইড’। দুনিয়ায় সবচেয়ে বড় গার্মেন্টস ট্রেজেডি। ১১ বছর পার হয়ে গেলো। অথচ এখনো দোষীদের বিচারের দাবি তুলতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পোষাক খাতের মাত্র ৭ শতাংশ শ্রমিক সংগঠিত। শ্রমিকদের সব অধিকার নিশ্চিত করতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তার অধিকার সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

আইবিসির সভাপতি এ.এম নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন-আইবিসির সাবেক সভাপতি আমিরুল হক আমির, শ্রমিক নেতা জেড এম কামরুল আনাম, রুহুল আমিন, কুতুবউদ্দিন আহমেদ, মীর আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।

আরো পড়ুন: রাজধানীতে ছাদ থেকে পড়ে শিশুর মৃত্যু

আইবিসির সাবেক সভাপতি আমিরুল হক আমির বলেন, আড়াই হাজার শ্রমিক আহত হয়েছে। আহত শ্রমিকরা চিকিৎসার অভাবে কাতরাচ্ছেন। ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিক ও তাদের পরিবারগুলোকে এতো বছরেও ন্যায্য ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়নি। আহতদের পুনর্বাসন হয়নি। তাদের বেশিরভাগ কাজে ফিরতে না পারায় অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছেন। জরুরী ভিত্তিতে মেডিকেল বোর্ড গঠন করে আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি করেন তিনি। 

রানা প্লাজা দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত রানাসহ জড়িত সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ২৪ এপ্রিলকে শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। দোষীদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল আটতলা রানা প্লাজা ধসে পড়ে। এই বহুতল ভবনে পাঁচটি গার্মেন্টস কারখানায় পাঁচ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করতেন। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠন-আইএলও এর হিসাব মতে ওই ঘটনায় ১১৩২ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন পোশাক শ্রমিক। আহত অবস্থায় উদ্ধার হন প্রায় আড়াই হাজার। যাদের অনেককেই আজীবন পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে। এই ঘটনাটিকে বিশ্বের ভয়াবহতম 'ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্র্যাজেডি; হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়ে থাকে। যার প্রভাবে সে সময় বাংলাদেশে শ্রমিকদের কর্ম পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিলো।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App