×

রাজধানী

পাইলটের দক্ষতায় প্রাণ বাঁচলো শতাধিক যাত্রীর

Icon

কাগজ ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম

পাইলটের দক্ষতায় প্রাণ বাঁচলো শতাধিক যাত্রীর

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পাইলটের দক্ষতায় শতাধিক যাত্রী প্রাণে বেঁচে গেছেন। ঈদের দিন রানওয়ের মধ্যে থাকা একটি লাইটবক্স ভেঙে বেরিয়ে আসার কারণে বিমানের দ্রুতগামী চাকায় আঘাত লেগে চাকা ফেটে যায়। টেক অফের ঠিক আগ মুহূর্ত হওয়ায় পাইলটের নিয়ন্ত্রণে ছিলো না বিমানটি। ফলে চাকার টায়ার ফেটে যাওয়ার পরও ফ্লাইটটি আকাশে উঠে যায়। পরবর্তী সময়ে পাইলট তার দক্ষতায় ফের বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে সক্ষম হলে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ঈদুল ফিতরের দিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কাঠমান্ডুগামী একটি ফ্লাইট (বিজি-৩৭১) উড্ডয়নের সময় ঘটে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।

জানা গেছে, ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর পুরো ফ্লাইটে যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। চাকা ফেটে নাইট্রোজেন গ্যাস ছড়িয়ে পড়ায় ফ্লাইটের মধ্যে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায়। এ সময় আকাশে থাকা ফ্লাইটটির ভেতরে যাত্রীদের মাথার ওপরে থাকা অক্সিজেন মাস্কগুলো একটার পর একটা বেরিয়ে আসতে থাকে। এতে যাত্রীরা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কেবিন ক্রুরা দিশেহারা হয়ে এদিক-ওদিক ছুটতে থাকেন। যাত্রীরা কান্নাকাটি শুরু করেন।

বিমান সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এয়ারক্রাফটটি টেইক অফের কিছুক্ষণ পরই দুই পাইলট ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন । বিষয়টি তারা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টাওয়ারে জানান। ‘মে ডে মে ডে’ সংকেত দিয়ে ফ্লাইটটি জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। পরে টাওয়ার থেকে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়।

দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের দুই পাইলট এরপর বোয়িং কোম্পানির ৭৩৭ এয়ারক্রাফটটি নিয়ে দীর্ঘ সময় আকাশে চক্কর দিতে থাকেন। কারণ, তখন বিমানের দুই ট্যাংক জ্বালানি তেলে পূর্ণ ছিলো। এ সময় জরুরি ল্যান্ডিং করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটাসহ আগুন ধরে যাওয়ার আশঙ্কা ছিলো বিমানে। যে কারণে এয়ারক্রাফটে থাকা পুরো জ্বালানি তেল ফেলে দেয়া হয়। যখন বিমানের তেল বহনকারী ট্যাংক জ্বালানিশূন্য হয়ে যায়, তখনই দুই পাইলট জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিমানটিকে শাহজালালের রানওয়েতে জরুরি অবতরণ করান।

এর আগে শাহজালাল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ রানওয়েজুড়ে ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসসহ চিকিৎসক প্রস্তুত রাখেন। যাতে বিমানে আগুন ধরে গেলেও সঙ্গে সঙ্গে  তা নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। এছাড়া কোনো যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া যায়।

বিষয়টি নিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শফিউল আজিম বলেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) গাফিলতির কারণে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছিলো। কিন্তু বিমানের পাইলটরা খুবই দক্ষতার সঙ্গে পুরো অবস্থা সামাল দেয়ায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App