×

রাজধানী

আলুর দাম বেড়েছে, কমেছে পেঁয়াজের

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৫ পিএম

আলুর দাম বেড়েছে, কমেছে পেঁয়াজের

ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীতে আলুর দাম বেড়েছে। এই দাম বাড়ছে এমন সময়ে, যখন অনেক কৃষক মাঠ থেকে আলু তোলা শেষ করতে পারেননি। মৌসুমের এসময়ে যেখানে আলুর দাম কমার কথা, সেখানে দাম উল্টো বাড়ছে। অতিরিক্ত উৎপাদন খরচ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে আলুর উৎপাদন কম হওয়া—মূলত এই দুই কারণকে আলুর চড়া বাজারের জন্য দায়ী করা হচ্ছে। দাম বাড়তি থাকায় ইতিমধ্যে আলু আমদানিও হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪২ টাকায়। সপ্তাহখানেক আগেও যা ছিল ৩৫ টাকা। তবে, উৎপাদন ও সরবরাহ ভালো থাকায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়, যা সপ্তাহখানেক আগেও ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, মুদি বাজারে আলু ব্যতীত অন্যান্য পণ্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। এসময় তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন, আলুর দাম আরো বাড়তে পারে।

সবজি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন প্রতি কেজি ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, প্রতি পিস লাউ ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৫০ টাকা, টমেটো ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা ও কুমড়া ৩০ টাকা ফাইল বিক্রি হচ্ছে।

মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, চাষের পাঙাশ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, চাষের শিং ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই মানভেদে ২৪০-৪০০ টাকা, চাষের কই ২৫০ টাকা, পাবদা মানভেদে ৪০০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০-১০০০ টাকা, কাতলা ৫০০-৬০০ টাকা, নলা ২০০ টাকা, টাটকিনি ২০০ টাকা ও সরপুঁটি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে।

মাংসের বাজার ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজি। সোনালি ৩০০-৩৫০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৮০০ টাকা ও খাসির মাংস ১১০০ টাকা। ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা হালি।

রাজধানীর নিউ মার্কেটের মুদি দোকানদার আব্দুর রশিদ বলেন, সরবরাহ ভালো থাকায় পেঁয়াজের দাম কমেছে। তবে, আলুর দাম বাড়তির দিকে। এসময় তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন, দাম আরো বাড়াতে পারে।  

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, গত মৌসুমে আলু উৎপাদিত হয়েছিল ১ কোটি ৪ লাখ টন, আর চাহিদা ছিল ৮০ থেকে ৮৫ লাখ টন। তবে হিমাগার সমিতির মতে, গত বছর ৯০ লাখ টন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন ছিল ৮০ থেকে ৮৫ লাখ টন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App