×

রাজধানী

মহাখালী বাস টার্মিনাল

ভোরের কুয়াশায় ট্রাফিক পুলিশের কর্ম তৎপরতা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:৫৩ পিএম

ভোরের কুয়াশায় ট্রাফিক পুলিশের কর্ম তৎপরতা

ছবি: ভোরের কাগজ

সকাল ছয়টা, রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকা। বাহিরে প্রচণ্ড শীত, চারিদিকে কুয়াশা, সাধারণ মানুষেরও বাড়েনি কর্ম তৎপরতা। টার্মিনালে থাকা বাসের মধ্যে ড্রাইভার-হেলপাররাও ঘুমে আচ্ছন্ন। একটি-দুটি করে সড়কে গাড়ি চলাচল শুরু হয়েছে। সড়কের দু’পাশেই দুই কিংবা তিন লেন করে পার্কিং করা বিভিন্ন পরিবহনের গাড়ি। এমতাবস্থায়, সড়কে শুরু হয় ট্রাফিক পুলিশের কর্ম তৎপরতা।

জানা গেছে, সারাদেশ থেকে আসা গাড়িগুলো রাত দশটার পর ভিড় জমায় রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনালে। টার্মিনালের ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত গাড়ি আসে টার্মিনালে, টার্মিনাল ভর্তি হওয়ার পর গাড়িগুলো রাতে রাস্তায় পার্কিং করে রাখেন ড্রাইভার ও হেলপাররা। এরপর কোনো কোনো ড্রাইভার হেলপার ঘুমিয়ে থাকে গাড়ির ভেতরে কিংবা টার্মিনালের নির্দিষ্ট জায়গায়। বিশেষ করে মহাখালী বাস টার্মিনালে ধারণ ক্ষমতার মাত্রাতিরিক্ত গাড়ি আসে। তাই সড়কে জুড়ে গাড়ি পার্কিং করে রাখেন ড্রাইভার ও হেলপাররা। আবার সকাল সকাল রাস্তায় পার্কিং করা গাড়িগুলো সরানো প্রয়োজন, না হয় বাঁধবে জ্যাম। বাঁধা সৃষ্টি হবে সাধারণ রাস্তায় চলাচলে। তখনই ভোরের কুয়াশার মধ্যে উপস্থিতি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের, হ্যান্ড মাইক নিয়ে শুরু হয় কর্ম ব্যস্ততা। 

সরেজমিন মহাখালী বাস টার্মিনাল গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার দু’পাশেই দুই থেকে তিন লেন করে এনা পরিবহন, জলসিড়ি পরিবহন, শুভেচ্ছা পরিবহন, নিরালা পরিবহন, এস আর ট্রাভেলস, একতা এবং কাজী পরিবহনের গাড়ি পার্কিংয়ের দখলে। টার্মিনালের সামনের ইউটার্নেও পার্কিং করা এনা পরিবহনের কয়েকটি গাড়ি। সড়কে গাড়ি চলাচলের জন্য এক লেন বাকি রয়েছে। তাও কোনোভাবে চলাচল করতে পারবে গাড়ি। বড় কিংবা ভারি যানবাহন হলে গাড়ি আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা। যদিও সড়কে গাড়ি পার্কিং করা বৈধ নয়। রাস্তায় পার্কিং করা কোনো কোনো বাসের হেলপার ও ড্রাইভারের ঘুম ভাঙাচ্ছেন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। পরে সড়কে পার্কিং করা গাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন ড্রাইভার ও হেলপাররা। এতে সুগম হচ্ছে সাধারণ মানুষের সকালের যাতায়াত।

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন-ই ভোরে প্রচণ্ড শীত কিংবা বৃষ্টির মধ্যেও সড়ক শৃঙ্খলাবদ্ধ রাখতে ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের জোরালো তৎপরতা এবং আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকে। কিন্তু অতিরিক্ত গাড়ি পার্কিং করার থাকার কারণে মাঝে মাঝে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বেগ পেতে হয় তাদের। তারপরও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এসব পুলিশের সদস্যরা।  

জানতে চাইলে গুলশান ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার হাফিজুর রহমান ভোরের কাগজকে বলেন, ‘টার্মিনালের বর্তমান যে, অবস্থা বিদ্যমান আছে তাতে আমাদের চেষ্টার কোনো ত্রুটি নেই। আমরা সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি টার্মিনালটাকে আরও ভালো রাখার জন্য। ডিসি স্যারের নেতৃত্বে সবসময় আমরা সচেষ্ট থাকি। সেই সঙ্গে জোর প্রচেষ্টা থাকে যেকোনোভাবে টার্মিনালটাকে ভালো রাখার। এই শীতের কুয়াশার মধ্যেই ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের কাজ শুরু হয়। পুলিশ যতটুকু আন্তরিক তৎপরতা চালাচ্ছে, টার্মিনালের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আরেকটু আন্তরিক হলেই এটির পরিবর্তন এবং উন্নতি করা সম্ভব।’

এ প্রসঙ্গে আরো জানতে চাইলে মহাখালী ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুল ইসলাম রনি ভোরের কাগজকে বলেন, 'মহাখালী বাস টার্মিনাল ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এ জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় সাধারণ জনগণের যাতায়াত নিশ্চিত করতে এই এলাকার যাতায়াত ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের যাতায়াত ব্যবস্থা ঠিক রাখতে প্রতিদিন মহাখালী জোনের ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা নিরন্তর ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ এবং ট্রাফিক পুলিশের যৌথ সমন্বয়ে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে বলে আশা রাখি।'

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App