×

রাজধানী

নতুন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠায়

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২০, ০৯:৪২ এএম

নতুন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা অনিশ্চয়তা ও উৎকণ্ঠায়

পাসপোর্ট। ফাইল ছবি

রাজধানী ঢাকার মিরপুর এলাকার বাসিন্দা জামিল আহমেদ চারু যাতায়াত কার্যক্রম শুরু হলেই ভারতে চোখের চিকিৎসা করাতে যাবেন। সেজন্য আগে থেকেই নিজের পাসপোর্টটি বানিয়ে রাখতে চান। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে নতুন আবেদন জমা দিতে যান। কিন্তু নতুন আবেদন জমা নেয়া সাময়িক বন্ধ জানিয়ে তাকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এটা শুধু আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসেই নয়, দেশের কোনো কার্যালয় থেকেই মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) বা ই-পাসপোর্টের নতুন আবেদন জমা নেয়া হচ্ছে না। তাতে প্রায় প্রতিনিয়তই নতুন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা ফেরত আসছেন। কবে থেকে আবেদন নেয়া হবে, সে তথ্যও পাচ্ছেন না কেউ।

করোনা ভাইরাসের কারণে গত ২৩ মার্চ থেকে পাসপোর্টের নতুন আবেদন নেয়া বন্ধ রয়েছে। তবে এমআরপির রি-ইস্যু বা মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন জমা নেয়া হয়। আন-অফিসিয়ালি অতি প্রয়োজনে কিছু কিছু নতুন আবেদন জমা নেয়া হলেও তা কবে পুরোপুরি চালু হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। পাসপোর্ট অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কবে থেকে নতুন আবেদন জমা নেয়া শুরু হবে, সেই সিদ্ধান্ত তারা এখনো নেননি। এমনকি এই ধরনের নির্দেশনাও পাননি।

কবে থেকে নতুন পাসপোর্টের আবেদন জমা নেয়া হবে- কর্মকর্তারা তা নিশ্চিত করতে না পারলেও লোকজন প্রতিদিনই সে ব্যাপারে খোঁজ নিচ্ছেন। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আইয়ুব চৌধুরী ভোরের কাগজকে বলেন, নতুন পাসপোর্টের আবেদনের প্রেক্ষিতে আবেদনকারীর আঙুলের ছাপ ও খুব কাছ থেকে ছবি নিতে হয়। ই-পাসপোর্টের জন্য আইরিশ ও কয়েকটি আঙুলের ছাপ সংরক্ষণ করতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি খুব ঝুঁকিপূর্ণ। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। পাশাপাশি দৈনিক অনেক মানুষের আঙুলের ছাপ বা আইরিশ নিতে গিয়ে কর্মকর্তাদেরও সেই ঝুঁকিতে পড়তে হয়। এজন্য নতুন পাসপোর্টের আবেদন জমা নেয়া বন্ধ রয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, যাতে দ্রুত নতুন আবেদন নেয়া যায়, সে জন্য তিনি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও আলোচনা করা হবে। পাসপোর্ট গ্রাহকদের চাহিদা এবং ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে কার্যক্রম দ্রুত চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশেষ ধরনের একটি বন্ধ কক্ষে এমআরপি প্রিন্ট করা হয়। সেখানে একাধিক বিশেষজ্ঞ দায়িত্ব পালন করলেও করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গ্রুপ আকারে দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে। তাছাড়া অধিদপ্তরের অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যারা আক্রান্ত হয়েছেন তাদের আশপাশের লোকজনকেও ছুটিতে পাঠাতে হয়েছে। এজন্য সবকিছু দ্রুত করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য করোনার এই সময়েও নির্ধারিত সময়ে পাসপোর্ট সরবরাহ করা যায়নি।

পাসপোর্ট অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, স্বাভাবিক সময়ে সারাদেশে প্রতিদিন ১৮ থেকে ২০ হাজার পাসপোর্টের জন্য নতুন ও রি-ইস্যু আবেদন জমা পড়ত। এরমধ্যে ঢাকার আগারগাঁওয়ে প্রতিদিন ১৮০০ থেকে ২ হাজার আবেদন জমা নেয়া হতো। প্রায় সাড়ে চার মাস ধরে সেই কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বড় ধরনের জটের সৃষ্টি হয়েছে। নতুন আবেদন জমা নেয়া শুরু হলে সক্ষমতা অনুযায়ী সেই চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়বে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App