উত্তর কোরিয়া
বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় ৩০ জনকে গুলি করে হত্যা
কাগজ ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০২:১৮ পিএম
উত্তর কোরিয়া প্রশাসন সর্বক্ষেত্রেই চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখার কারণে খবর প্রকাশ্যে আসেনি। ছবি : সংগৃহীত
বন্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় উত্তর কোরিয়ার ৩০ সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জন উন। সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। মূলত ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসে দেশটিতে প্রায় ৪০০০ মানুষ মারা গিয়েছেন। এ দায়ভারে শাস্তিস্বরূপ তাদের হত্যার নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ নেতা। এমনকি দুর্নীতি ও দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে ওই কর্মকর্তাদের গত মাসে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। মঙ্গলবার ফক্স নিউজের প্রতিবেদনে উঠে আসে এই তথ্য।
দক্ষিণ কোরিয়ার একটি টিভি চ্যানেল এ ব্যাপারে উত্তর কোরিয়ার এক সূত্রকে উদ্ধৃত করে ওই খবর প্রকাশ করেছে। তারা জানিয়েছে, গত মাসে অর্থাৎ আগস্টেই কিমের ওই নির্দেশ পালন করে উত্তর কোরিয়ায় প্রায় ৩০ জন সরকারি কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি কাজে গাফিলতির অভিযোগেই দেশটির প্রধান নেতা কিম ওই নির্দেশ দিয়েছেন। সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ায় বড় ধরনের বন্যা হয়েছে। ভূমিধস, ভারী বৃষ্টি এবং বন্যায় প্রাণ হারিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। ঘরছাড়া হয়েছেন অজস্র। প্রতিবেদনে আরো দাবি, কিমের ধারণা, চেষ্টা করলে ক্ষয়ক্ষতি রুখতে পারা যেত। যারা এ কাজে গাফিলতি করেছেন তেমন বেশ কয়েক জন সরকারি কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন : জলবায়ু পরিবর্তন রোধে দক্ষিণ কোরিয়ার শিশুদের ঐতিহাসিক জয়
তবে উত্তর কোরিয়া প্রশাসন সর্বক্ষেত্রেই চূড়ান্ত গোপনীয়তা বজায় রাখার কারণে খবর প্রকাশ্যে আসেনি। দক্ষিণ কোরিয়ার ওই টিভি চ্যানেলটি তাদের সূত্র উদ্ধৃত করে আরো জানিয়েছে, কঠোর শাস্তির হুমকি গত মাসেই দিয়ে দিয়েছিল কিম প্রশাসন।
উত্তর কোরিয়ার সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (এনসিসিএনএ) একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, জুলাই মাসেই বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর শাস্তি’র নিদান দিয়েছিলেন কিম। এনসিসিএনএ আরো জানিয়েছে, ওই নির্দেশ দেয়ার আগে একটি আপৎকালীন পলিটব্যুরো বৈঠকও ডাকেন তিনি। উত্তর কোরিয়ার সিনুইজুতে সেই বৈঠকেই কিমের নির্দেশে প্রায় ৩০ জন সরকারি কর্মীর ‘ভাগ্য’ লেখা হয়।