প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার অভিযোগে রাজধানীর রমনা থানার মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি পেছানো পেছানো হয়েছে। সোমবার (২০ নভেম্বর) রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আতিক এ আদেশ দেন।
এর আগে এদিন মির্জা ফখরুলের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহসহ ৫০ এর অধিক বিএনপিপন্থী আইনজীবী জামিন শুনানি করতে চান। তবে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ বলে আদালতকে জানান রাষ্ট্রপক্ষের অন্য আইনজীবীরা। তারা জামিন শুনানি পেছানোর জন্য আবেদন করেন।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবীরা ‘ওপেন আদালতে’ বসেই ১-২ দিনের মধ্যে জামিন শুনানির সুনির্দিষ্ট সময় চান। বিচারক একটু সময় নিয়ে তারিখ নির্ধারণ করার কথা বলেন। এসময় আইনজীবীরা হট্টগোল শুরু করেন। পরে বিচারক ১০ মিনিটের জন্য আদালত মুলতবি ঘোষণা করেন। এরপর তিনি আদালত আদেশে মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানির জন্য আগামী ২২ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
এরআগে গত ২৯ অক্টোবর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে তার গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ডিবি পুলিশ। ওইদিন রাতে তাকে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক। এরপর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করেন মির্জা ফখরুলের আইনজীবীরা।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির মহাসমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনে বিএনপির কর্মীরা গাছের ডাল ভেঙে ও হাতের লাঠি দিয়ে নামফলক, গেটে হামলা চালায়। তারা ভেতরে ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এ ঘটনায় রমনা থানায় ৫৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটিতে মির্জা ফখরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এছাড়া মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, সামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডুনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।