বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও নান্দনিক মরুদ্যান ‘মিরাকল গার্ডেন’। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যিক নগরী দুবাইয়ে অবস্থিত। ৫ কোটিরও বেশি বাহারি ফুল দিয়ে দুবাইয়ের মধ্যাঞ্চল দুবাইল্যান্ড নামক স্থানে প্রাকৃতিক ফুল দিয়ে সাজানো এই সর্ববৃহৎ বাগান। মধ্যপ্রাচ্যের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে ৭টি আমিরাত আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, ওম আল-কাওয়াইন, রাস আল খাইমাহ ও ফুজাইরাহকে নিয়ে গঠিত হয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মধ্যপ্রাচ্য তো বটেই, গোটা বিশ্বে অন্যতম বাণিজ্যিক শহর হিসেবে পরিচিত দুবাই। বাণিজ্যিক নগরীর পাশাপাশি আলো ঝলমলে দুবাই এখন আন্তর্জাতিক বিনোদনকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
পর্যটকদের জন্য এখানে রয়েছে- বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু (প্রায় ২,৭১৬.৫ ফুট) ও অসংখ্য রেকর্ড সৃষ্টিকারী বিলাসবহুল ভবন বুর্জ খলিফা, মেরিনা বে-তে কৃত্রিম উপসাগরে প্রমোদতারীতে ভ্রমণের সুযোগ, মরুভূমিতে ডেজার্ট সাফারি এবং দুবাই ‘মিরাকল গার্ডেন’ নামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান।
শুধু মধ্যপ্রাচ্য কিংবা এশিয়ার বিভিন্ন দেশ থেকেই নয়, ইউরোপ-আমেরিকা থেকেও প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক আসছেন মিরাকল গার্ডেনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে। এক কথায় বিশ্বের ফুলপ্রেমীদের মিলনমেলা এই মরুদ্যান। এতে নানা কাঠামোর ওপর অত্যন্ত শৈল্পিকভাবে ফুলগাছগুলো লাগানো হয়েছে। কোথাও ঘোড়া, কোথাও উড়োজাহাজ আবার কোথাও বিভিন্ন প্রাণির অবয়বের কাঠামোতে লাগানো হয়েছে এই ফুলগাছ।
পার্কটিতে পর্যটকদের প্রবেশ মূল্য ৯৫ দিরহাম বা ৩ হাজার টাকা। হরেকরকম বাহারি ফুল দিয়ে সাজানো এই ফুলের বাগান দেখে মুগ্ধ হননি এমন পর্যটক খুঁজে পাওয়া দায়।
বাংলাদেশ থেকেও অনেক পর্যটক আসেন মিরাকল গার্ডেনের সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে। এমনই একজন পর্যটকের সঙ্গে কথা হলো এই মরুদ্যানে। মো. সগির নামে ওই বাংলাদেশি পর্যটক জানালেন, তিনি সোহেল, বিপ্লব, সেলিম ও সামছু নামে চার বন্ধুর সঙ্গে দুবাই বেড়াতে এসেছেন। তিনি ঢাকা কলেজের সাবেক ভিপি। বুর্জ খলিফা দেখার পর তিনি বন্ধুদের নিয়ে দুবাই ম্যাজিক গার্ডেন দেখতে এসেছেন। সগির আরো জানান, দুবাইয়ে পর্যটকদের প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে বিনামূল্যে এক জিবি ইন্টারনেটসহ একটি সিম দেয়া হয়।
এছাড়াও পর্যটকদের জন্য রয়েছে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা। এ কারণে দিন দিন বাণিজ্যের পাশাপাশি বিশ্বের অন্যতম বিনোদনকেন্দ্র হয়ে উঠছে দুবাই।
তিনি বলেন, দেশের ইমিগ্রেশনে বাংলাদেশিরা যে পরিমাণ হয়রানির শিকার হয়, তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। দুবাই আসার সময় তাদের বারবার জিজ্ঞেস করা হয়- আপনারা কী প্রথমবার দুবাই যাচ্ছেন? তাহলে স্যারের (বড় অফিসার) সঙ্গে কথা বলেন। ওই বড় অফিসার পাঠালেন তার চেয়ে বড় অফিসারের কাছে। যেন দুবাই প্রথমবার ভ্রমণ করাটা একটা অন্যায় কাজ। পরে বুঝলাম ঘুষের টাকার জন্যই এভাবে বিদেশগামীদের হয়রানি করে যাচ্ছেন।
দেশের পর্যটন খাতের প্রসারে পর্যটন স্পটগুলোর আধুনিকায়নের পাশাপাশি বিমানবন্দরে হয়রানি দূর করারও পরামর্শ দেন বাংলাদেশি এই পর্যটক।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।