শাহরুখ খানের বিপরীতে ‘রইস’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। ছবি চলেনি, তার মাধ্যেই দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি মাহিরা খান ফিরে যান পাকিস্তানেই। ভারতে তাঁর প্রথম ছবি ফ্লপ, অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন নায়িকা। মাঝে একটা সময় বেশ অসুস্থ ছিলেন।
এবার নিজের জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করলেন তিনি। দ্বিতীয় বার বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন মাহিরা খান। পাত্র দীর্ঘ দিনের বন্ধু সেলিম করিম। অভিনেত্রীর প্রথম বিয়ের ভাঙার পর একটা লম্বা সময় সেলিমের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন।
যদিও এর মাঝে ভারতীয় তারকা রণবীর কাপূরের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের গুঞ্জন শোনা যায়। এবার পাকাপাকি ভাবে ঘর বাঁধলেন মাহিরা। বিয়ের পরপরই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বর–কনের কয়েকটি ছবি ফাঁস হয়েছে।
শিল্পপতি সেলিমের সঙ্গে সম্পর্ক বরাবরই লোকচক্ষুর আড়ালেই রেখেছিলেন নায়িকা। বলিউডের নায়িকাদের মতো বিয়েতে প্যাস্টেল রঙকেই বেছে নিয়েছেন মাহিরা। হালকা আকাশি রঙের লেহঙ্গা, অন্যদিকে বরের পরনে ছিল কালো শেরওয়ানি আর মাথায় ছিল কনের লেহঙ্গার সঙ্গে মানানসই পাগড়ি। পাকিস্তানের মুরিতে বিয়ে সারেন অভিনেত্রী। কনেকে নিজের দিকে হেঁটে আসতে দেখে হাপুস নয়নে কাঁদতে শুরু করেন সেলিম। আবেগঘন হয়ে পড়েন মাহিরাও।
এর আগে ২০০৬ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসে জীবনসঙ্গীকে খুঁজে পান মাহিরা। আলি আসকারির সঙ্গে মাহিরার সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানায় মাহিরার পরিবার। সকলের অমতে আলিকে বিয়ে করেন মাহিরা। মাত্র ২৩ বছর বয়সে ২০০৭ সালে আলির সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন মাহিরা। বিয়ের দু’বছর পর পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু ২০১৫ সালে আলির সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যায় মাহিরার। তার আট বছর পর নতুন করে ঘর বাঁধলেন অভিনেত্রী।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।