সাকিব
এবারের বিশ্বকাপে নেই তামিম ইকবাল। বুধবার জাতীয় দল ভারতের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার পর দলে না থাকার কারণ সম্পর্কে এক ভিডিওবার্তায় খোলাসা করেন দেশসেরা ওপেনার।
তামিমের কথার মূল বক্তব্য যদি ধরা যায় তবে বলা যায়, তাকে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে না খেলতে কিংবা নিচের দিকে খেলতে বলা হয়েছিল বিসিবির উচ্চপর্যায় থেকে। বিষয়টি ভালোভাবে নেননি তামিম। নিজেই স্বীকার করেছেন তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলেন।
কেন উত্তেজিত হয়েছিলেন, সেই ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তামিম বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমি কোন মাইন্ডসেট থেকে আসছিলাম। হঠাৎ করে একটা ভালো ইনিংস খেললাম। আমি হ্যাপি ছিলাম। এর মধ্যে আবার এসব কথা, আমার পক্ষে নেওয়া আসলে সম্ভব না। আমি ১৭ বছর পর এক পজিশনে ব্যাটিং করছি, আমি কোনোদিন ৩-৪ নম্বরে ব্যাটিংই করিনি। এমন যদি হতো, আগেও করেছি, তাহলে একটা কথা ছিল।’
তামিম পরে অভিমান করে বলেন, এসব নোংরামির মধ্যে তিনি থাকতে চান না। তার চেয়ে বরং তাকে দলে না রাখলেই ভালো।
তামিমের এমন আচরণকে বাচ্চাসুলভ মনে করছেন সাকিব। দেশ ছাড়ার আগে বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে (যেটি আজ রাত ১১টায় প্রচার হয়) তিনি বলেন, রোহিতের (শর্মা) মতো ক্রিকেটার নাম্বার সেভেন থেকে এসে ১০ হাজার করে ফেলেছে। মাঝে মাঝে সেও যদি তিন-চারে খেলে, ব্যাটিংয়ে না নামে, খুব একটা কি সমস্যা হয়? এটা আসলে আমার কাছে মনে হয়, একদম বাচ্চা মানুষের মতো, ‘আমার ব্যাট আমি খেলবো। আর কেউ খেলতে পারবে না।’
তামিম কতটা টিমম্যান সেই প্রশ্নও তুললেন সাকিব। তিনি বলেন, দলের প্রয়োজনে যে কারও যেকোনো জায়গায় খেলা উচিত। টিম ফার্স্ট। ১০০-২০০ করে দল হারলো, কিছু যায় আসে না। ব্যক্তিগত অর্জন দিয়ে কী করবেন আপনি আসলে? আপনি শুধু নিজের নাম কামাবেন? তাহলে কী? ইউ আর নট থিঙ্কিং অ্যাবাউট দ্য টিম, ইউ আর নট থিঙ্কিং অ্যাবাউট দ্য টিম অ্যাট অল…মানুষ এই পয়েন্টগুলাই বোঝে না।
‘যখন দেখলেন প্রস্তাব দেয়া হয়েছে, কেন দেওয়া হয়েছে? হয়তো দলের ভালো হবে। অবশ্যই আলোচনা আছে যে না আমি পারব, আমি নিজের সেরাটা দেবো। তাহলে আপনি টিমম্যান। না হলে আপনি টিমম্যান না। নিজের রেকর্ড, সাফল্য, খ্যাতির জন্য খেলছেন’-সাকিবের সাফ কথা।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।