স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রেস্টুরেন্ট মালিক গ্রেপ্তার

স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে রেস্টুরেন্ট মালিক গ্রেপ্তার

আগের সংবাদ
শিখ হত্যা

ভারতের বিরুদ্ধে শিখ হত্যার প্রমাণ পেয়েছে ফাইভ আইজ

পরের সংবাদ

মিথ্যা মামলা করায় দুই জনের কারাদণ্ড

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ , ৬:৩২ অপরাহ্ণ আপডেট: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৩ , ৬:৩২ অপরাহ্ণ
মিথ্যা মামলা

অপহরণের নামে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় উল্টো বাদী আজম ও তার সহযোগী মিরাজ হোসেনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক মুহাম্মদ সামছুল ইসলামের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

কারাদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তাদের আরো তিন মাস সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।

রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আলী আসগর স্বপন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, আসামি আজমের পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে আবু সাঈদ ২০১৪ সালের ১৫ এপ্রিল হাজারীবাগ থানাধীন মাজার রোডের বড় মসজিদ মাতৃপিঠ স্কুলের উদ্দেশ্য বের হয়। এরপর সে আর বাসায় ফেরেনি। এ ঘটনায় তার বাবা হাজারীবাগ থানার সাধারণ ডায়েরি করেন।

ঘটনার ২০/২৫ দিন পর আজমের মোবাইলে ফোন করে তার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন অপহরণকারীরা, না হলে আবু সাঈদকে খুনের হুমকি দেয়। এমন অভিযোগ এনে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হাজারীবাগ থানায় মামলা করেন আজম।

এ মামলার পর আফজাল হোসেন মোল্লা ও সাইফুল ইসলাম হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের (দক্ষিণ) উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই দুই জনকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে বাধ্য করেন।

মামলাটি তদন্ত করে আফজাল, তার বোন সোনিয়া, সাইফুল ও শাহিন নামে ৪ জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ১৫ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন উপ-পরিদর্শক রুহুল আমিন। কিন্তু মামলার বিচার চলাকালে ২০১৯ সালে শিশু আবু সাইদকে উদ্ধার করা হয়। এরপর মামলার বিচার শেষে ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর আসামিরা রায়ে খালাস পান।

অন্যদিকে মিথ্যা অভিযোগে মামলা করায় ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর আবু সাঈদ, তার বাবা আজম, মা মাহিনুর বেগমসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন আগের মামলার আসামি সোনিয়া। আদালত মামলাটি আমলে গ্রহণ করেন।

২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আজম ও তার সহযোগী মিরাজ হোসেনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। বাকি ৭ আসামিকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মামলার বিচার চলাকালে আদালত তিন জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। আজম ও মিরাজ নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেন। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজম ও মিরাজকে কারাদণ্ড দিলেন আদালত।

এআই

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়