তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ (শনিবার) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। টস হেরে বোলিং করতে নেমে আলো ছড়িয়েছে টাইগার বোলাররা। আজকের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছে খালেদ আহমেদের। ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে তিনি ৩ উইকেট শিকার করে অভিষেক রাঙ্গিয়েছেন। টাইগারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৯.২ ওভারে ২৫৪ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ডের ইনিংস। এ ম্যাচ জিততে হলে লিটন বাহিনীকে করতে হবে ২৫৫ রান। টাইগার বোলারদের মধ্যে শেখ মেহেদী ৪৫ রানে ও খালেদ ৬০ রানে ৩টি করে উইকেট নেন। মোস্তাফিজুর রহমান ৫৩ রানে ২টি এবং হাসান মাহমুদ এবং নাসুম আহমেদ ১টি করে উইকেট তুলে নেন।
কিউই শিবিরে আজ প্রথম হানা দিয়েছেন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। এর আগে বৃষ্টিতে পণ্ড হওয়া প্রথম ম্যাচেও আক্রমণাত্মক মোস্তাফিজকে দেখা গিয়েছিল। আজকের ম্যাচেও এই বাহাতি পেসার ছন্দ ধরে রেখেছেন। ম্যাচের তৃতীয় ওভারেই তার বলে রানের খাতা না খোলে সাজঘরের পথ ধরেন ব্ল্যাক ক্যাপসদের ওপেনার উইল ইয়ং। আরেক ওপেনার ফিল অ্যালেন তিনে নামা চাড বাউসকে সঙ্গে নিয়ে উইকেটে থিতু হওয়ার চেষ্টা চালান। এর মধ্যেই অ্যালেনকে বিদায় করেন মোস্তাফিজ। তিনি ১৫ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলেন। চারে নামা হেনরি নিকোলস এরপর রক্ষণাত্মক খেলে উইকেটে নিজের অবস্থান শক্ত করেন।
এক প্রান্তে তিনি বলের পর বল ডিফেন্স করছিলেন, আরেক প্রান্তে থাকা বাউস আজকের ম্যাচে অভিষিক্ত খালেদের ক্যারিয়ারের প্রথম শিকারে পরিণত হন তাওহিদ হৃদয়ের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। ৭ দশমিক ৫ ওভারে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড দল কোণঠাসা হয়ে পড়ার কথা থাকলেও চতুর্থ উইকেট জুটিতে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন টম ব্লান্ডেল ও নিকোলস। দুই ব্যাটারের মধ্যে নিকোলসের খেলা ছিল রক্ষণধর্মী, অন্যদিকে স্ট্রাইক রেট ঠিক রেখে চার-ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন ব্লান্ডেল।
তাদের জুটি ভাঙ্গে নিকোলস ৪৯ রানে খালেদের শিকারে পরিণত হলে। এর তিন ওভার পরই হাসান মাহমুদের ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে আউট হন ৬৮ রানের ইনিংস খেলা ব্লান্ডেল। পরবর্তীতে দাপট দেখান স্পিনাররা। এর আগ পর্যন্ত কিপ্টে রান খরচে বল হাতে লড়াই করলেও স্পিনারদের হয়ে প্রথম উইকেটটি শিকার করেন শেখ মেহেদী। তার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন রচিন রবীন্দ্র। এরপর কোল ম্যাককঞ্চিকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে আউট করেন নাসুম আহমেদ। রিভিউ নিয়েও রক্ষা হয়নি এই কিউই ব্যাটারের। টানা উইকেট পড়তে থাকায় মনে হচ্ছিল ২১০ রানের মধ্যেই সফরকারীদের আটকে দেবে টাইগাররা। তবে এমন পরিস্থিতিতে দলের ত্রাতা হয়ে উঠেন ইশ সোধি ও কাইল জ্যামিসন। ২১৯ রানের সময় জ্যামিসনকে সাজঘরে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন মেহেদী।
এরপর হাসান মাহমুদ নিজের শেষ ওভারে রান আউট করেন সোধিকে। তিনি বল ছাড়ার আগেই প্রান্ত বদলের লক্ষ্যে লাইন ক্রস করেন সোধি, তখন বল না করেই স্ট্যাম্পিং করে দেন হাসান। রিভিউ দেখে সোধিকে আউট ঘোষণা করেন আম্পায়ার। পরবর্তীতে অধিনায়ক লিটনের অনুরোধে মাঠে ফিরিয়ে আনা হয় সোধিকে। এরপর কিউই অধিনায়ক লোকি ফার্গুসনকে ফিরিয়ে নিজের তৃতীয় উইকেট শিকার করেন মেহেদী। এর মধ্যে বিকাল ৪টা ৫ মিনিটে স্টেডিয়ামের উত্তর দিকের ফ্লাড লাইটে আগুন ধরে যায়। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।