আপনি আবিষ্কার করবেন যে প্রতিটি চিত্র একটি প্রবেশপথ। পরিচিতের বাইরে অপ্রত্যাশিতকে আলিঙ্গন করবার আমন্ত্রণ। এখানে, রেখাগুলো আবেগতাড়িত, আকারগুলি গল্পে পরিণত — গ্রেগরি সামসা যেন। শক্ত ভাষায় বলা যায়, মানুষের অভিজ্ঞতার গভীর অন্বেষণ। প্রকৃতির হাজার নিদর্শন এবং বাংলাদেশের লোকজ মোটিফের সমৃদ্ধ কাঁথা থেকে আমি একটি শৈল্পিক আখ্যান বুনেছি।
অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা এবং বোঝাপড়াকে প্রকাশ করবার অনুসন্ধানে, আমার চিত্রগুলো বাস্তবতার সীমানা অতিক্রম করে রং, ফর্ম এবং আবেগের সিম্ফনি হয়ে ওঠে। এ কা মা খা হয়তো আমাদের সকলেরই প্রতিদিনকার যাপন। আমরা সকলেই একা।
যে যার মতো একই নিজের শ্বাস নেই, নিজের ঘুম নিজে ঘুমোই। কিন্তু সকলের একাকিত্ব শেষমেশ মেখে একাকার হয়। এ কা মা খা আমাদের সকলেরই প্রতিদিনকার যাপন। আমরা সকলেই একা। যে যার মতো একই নিজের শ্বাস নেই, নিজের ঘুম নিজে ঘুমোই। কিন্তু সকলের একাকিত্ব শেষমেশ মেখে একাকার হয়।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর লালমাটিয়ার কলাকেন্দ্র আয়োজিত শিল্পী অনিন্দ্য নাহার হাবীবের পক্ষকালব্যাপী ‘এ কা মা খা’ শীর্ষক একক প্রদর্শনীতে নিজের চিত্রকলা সম্পর্কে এই কাব্যময় প্রতিক্রিয়া জানালেন।
প্রদর্শনীর কিউরেটর কলাকেন্দ্রের পরিচালক শিল্পী ওয়াকিলুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষক শিল্পী শিশির ভট্টাচার্য ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগের শিক্ষক, লেখক মানস চৌধুরী।
শিশির ভট্টাচার্য বলেন, আমার ছাত্র অনিন্দ্য চারুকলার ক্লাসে ফাঁকি দিলেও নিজের সঙ্গে এবং ছবি আঁকায় ফাঁকি দেয়নি। ছবি আকায় বেশ সক্রিয় এবং নিবিষ্ট। তার কাজগুলো দেখে বিস্মিত হয়েছি। অনেক ভালো কাজ উপহার দিয়েছে। আর শিল্পী ওয়াকিলুর রহমান যখন কাউকে নির্বাচন করেন অবশ্যই এর গুরুত্ব আছে।
তিনি বলেন, এখন শিল্পী না হয়েও কলাকেন্দ্রে অনেকের প্রদর্শনীর আয়োজন হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে একটা শ্রেণী তৈরী হচ্ছে। এটা ইতিবাচক দিক।
মানস চৌধুরী বলেন, বাঙলার গান রেখাচিত্রের মধ্য দিয়ে পুণর্জাগরণের নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। পাশাপাশি পৌরানিক গল্পগুলোর সঙ্গেও চিত্রকলার মধ্য দিয়ে পুনস্থাপন করা হয়েছে নিবিষ্টতায়।
প্রদর্শনী চলবে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত, প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা এর দ্বার খোলা থাকবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।