পরীমনি ও শরিফুল রাজ সবসময়ই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিজেদের রাখতে পছন্দ করেন। শনিবার রাতে রাজের সঙ্গে হাতাহাতি, রক্তারক্তি। দুজনই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রায় চার মাস হতে চলেছে তারা দুজন আলাদা বসবাস করছেন। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গে হঠাৎই তাদের দুজনের দেখা হয়ে যায়। ছেলের জন্মদিনের কেকও কাটেন তারা। যদিও এর আগে রাজধানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে ধুমধাম করে ছেলের জন্মদিন পালন করেন পরীমনি। তবে সেখানে রাজকে দেখা যায়নি। আগে থেকেই পরীমনি গণমাধ্যমে জানিয়ে রেখেছিলেন, তিনি চান না যে ছেলের জন্মদিনে রাজ আসুক।
বেশ কিছুদিন আগে একসঙ্গে তাদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেখে অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন, হয়তো দ্বন্দ্ব মিটিয়ে আবারো কাছাকাছি এসেছেন তারা। কিন্তু তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে যে, রাজ ও পরীমনিকে ঘিরে কোনো সমস্যার সমাধানই হয়নি। অপরদিকে, একযোগে সবাই জিজ্ঞাসা করেছেন যে, কীভাবে রাজের এ অবস্থা হলো?
এ বিষয়ে কলকাতায় রাজের সহকারী আনন্দবাজার অনলাইনের প্রতিবেদককে জানান, এ বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহের অবকাশ আছে। কলকাতায় এসেই জনপ্রিয় এই ঢাকাই নায়কের ফোন চুরি হয়ে যায়। তারপর থেকে রাজের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। শনিবার রাতের ঘটনা তিনি জানতে পেরেছেন রবিবার সকালে। তবে পরীমনির সঙ্গে কিছু হয়েছে কিনা সে বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারেননি।
তবে ঘনিষ্ঠ সূত্র ধারণা করছে যে, সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়েই হাসপাতালে ভর্তি হন শরিফুল রাজ। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত নন ঢাকাই নায়কের কলকাতার সহকারী।
এদিকে ছেলে শাহীম মুহম্মদ রাজ্যকে নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন নায়িকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লেখেন, মার্ক করে রাখতে ভালো লাগছে। তার এই পোস্টকে কেন্দ্র করেও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। হঠাৎ কেন এমনটি লিখলেন তিনি? তবে শোনা যাচ্ছে, নায়িকা নাকি এখনো কথা বলার অবস্থায় নেই। অপরদিকে শরিফুলেরও আর কোনো খবর আসেনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।