সখীপুরে গরুর হাট বসানোর দাবিতে মানববন্ধন

সখীপুরে গরুর হাট বসানোর দাবিতে মানববন্ধন

আগের সংবাদ
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে এ্যানির ‘সমকালের বয়ান’

আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে এ্যানির ‘সমকালের বয়ান’

পরের সংবাদ

আনোয়ারুল হত্যার এক বছর, শেষ হয়নি মামলার তদন্ত!

প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২৩ , ৯:২৭ অপরাহ্ণ আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০২৩ , ৯:২৯ অপরাহ্ণ
আনোয়ারুল হত্যার এক বছর, শেষ হয়নি মামলার তদন্ত!

নীলফামারীর ডিমলায় গত বছরের ৯ অক্টোবর বাবুরহাট সদরের বিজয় চত্ত্বর সংলগ্ন নিজ বাড়িতে খুন হন আনোয়রুল ইসলাম চৌধুরী। পরে গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্ত্রী-সন্তান বাড়িতে না থাকায় মাঝ রাতে দুর্বৃত্তরা নৃশংশভাবে কুপিয়ে হত্যা করে আনোয়ারুলকে। পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে ডিমলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও শেষ হয়নি তদন্ত। বর্তমানে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) নীলফামারী ইউনিটে মামলাটি তদন্তাধীন আছে। মুত্যৃর ৫ মাস পর জন্ম হয় তৃতীয় সন্তান আব্দুল্লাহ আল আনাসের। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটির এমন নৃশংস হত্যার ১০ মাসেও তদন্ত শেষ না হওয়ায় অসহায় স্ত্রী সুখী ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন বিচারের আশায়।

নিহতের স্ত্রী সুখি আক্তার জানান, অসুস্থ থাকায় সেদিন বাবার বাড়িতে ছিলাম। সেই রাতে কে বা কাহারা আমার স্বামীকে নির্মম ভাবে হত্যা করে। আমার সুখের সংসার নষ্ট হয়ে গেছে। আমার স্বামীকে কে মারলো আজ পর্যন্ত জানতে পারলাম না। তিন বাচ্চা নিয়ে অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের বিচার চাই। আমি ভয়ে সেই বাড়িতে থাকতে পারি না। নিজের বাড়ি ছেড়ে বাচ্চাদের নিয়ে ভাড়া বাড়িতে আছি।

সুখি আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার এই মামলার মা-বাপ নাই। আমার বাচ্চাগুলোর মতো মামলাটাও এতিম হয়ে আছে, কেউ খোঁজ খবর নেয় না। আমার স্বামীর হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।

ডিমলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে নীলফামারী সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজ উর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া কথা বলতে রাজি হয়নি।

নীলফামারী আইনজীবি সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সোয়েম বলেন, মামলার তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে বিচার পেতে বেগ পেতে হয়, ফলে বাড়ে অপরাধপ্রবণতা। মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে দেরি হলে আসামিরা অন্য অপরাধে জড়িয়ে পরে, ফলে বিচারপ্রার্থীরা আইনের আশ্রয় নিতে ভয় পায়। অপরদিকে অপরাধীরা নতুন নতুন অপরাধে জড়িয়ে পরে।

কেএমএল

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়