×

মুক্তচিন্তা

আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা : দলের বিজয় নিশ্চিতকরণে তৃণমূল কতটা সহায়ক হবে?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:১৮ এএম

আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা : দলের বিজয় নিশ্চিতকরণে তৃণমূল কতটা সহায়ক হবে?

গত ৬ আগস্ট গণভবন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে আমন্ত্রিত হয়ে দলের জাতীয় কমিটি, কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ছাড়াও জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং দলের সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যোগ দেন। সংখ্যাটি প্রায় ৫ হাজার। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সভা চলে। সভাপতিত্ব করেন দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী ও সমাপনী ভাষণের মধ্য দিয়ে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনে কার কী করণীয় সে সম্পর্কে তার মতামত রাখেন। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত প্রায় ৪৩ জন বক্তৃতা করেন। মূলত আগামী নির্বাচনকে উপলক্ষ করে। দলের তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে ঐক্য জোরদার, বিভেদ অতিক্রম এবং নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার ব্যাপারে আগত নেতাকর্মীদের অভিমত শোনা হয়। অনেকেই নিজ নিজ এলাকায় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাজকর্মের নানা চিত্র তুলে ধরেছেন। গণমাধ্যমে সব চিত্র যেমন আসেনি আবার বর্ধিত সভাতেও সবাই যার যার নির্বাচনী আসনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন এমনটি নাও হতে পারে। কেউ কেউ আবেগ-উচ্ছ¡াসে জেলার সব আসন নেত্রীকে উপহার দেয়ার মতো কথাও বলেছেন। আবার অনেকে নেতাকর্মী ও তৃণমূলের দ্ব›দ্ব ও দূরত্বের বিষয়গুলো তুলে এনেছেন বলে কিছু কিছু পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। সেই সব দ্ব›দ্ব নিরসন না হলে আসনগুলো নিয়ে তাদের শঙ্কার কথাও জানিয়েছেন। আবার কেউ কেউ বর্তমান এমপিদের বাদ দিয়ে নতুন প্রার্থী মনোনয়নেরও আহ্বান জানিয়েছেন। অনেকে দলীয় সভাপতি যাকে মনোনয়ন দান করবেন, তার পক্ষে বিভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও প্রতিশ্রæতি দিয়েছেন। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত নেতাদের মধ্যে যারা বক্তব্য রেখেছেন তাদের বক্তব্যে ভিন্ন ভিন্ন চিত্র ফুটে উঠলেও শেষ কথা ছিল নেত্রী যাকে মনোনয়ন দান করবেন, তারা তার পক্ষে কাজ করবেন। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরাখবর থেকে কিছু অঞ্চলের নেতাদের বক্তৃতায় উঠে আসা তথ্যগুলো এমনই ছিল। শেখ হাসিনা গত ১৫ বছর উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা সৃষ্টি করেছেন, তাতে ২০০৮ সালের দিনবদলের সনদের ব্যত্যয় ঘটেছে এমনটি কোনো বিবেকবান মানুষ অস্বীকার করবেন না। যদিও রাজনীতিতে বিরোধীরা কখনোই বাস্তব অর্জনকে খুব একটা স্বীকার করতে চায় না। যখন বলা হয়ে থাকে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে কোনো উন্নয়নই হয়নি, তখন তো অনুন্নয়নে চাপা পড়ে ১৮ কোটি মানুষের একটি বড় অংশই হয় মৃত্যুবরণ করত নতুবা দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যেতে বাধ্য হতো। বাংলাদেশে তো তেমন ঘটনা ঘটেনি। রাতারাতি দেশটা উন্নত-সমৃদ্ধ হয়ে যাবে, সেটি কেবল কল্পনাবিলাসীরাই ভাবতে পারেন। বাস্তবে সেটি সেভাবে ঘটে না। স্বীকার করতেই হবে এই প্রথম ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশ কতগুলো সুনির্দিষ্ট খাতে আমূল পরিবর্তন ঘটানোর সরকারি সিদ্ধান্ত দেখেছে এবং সেগুলোর সুফলও বাংলাদেশ কমবেশি গত কয়েক বছর থেকে পেতে শুরু করেছে। আমরা কোনোদিনই ভাবতে পারিনি আমাদের দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব হবে। বিদ্যুৎ চাহিদামতো উৎপাদিত না হলে শিল্প, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সমাজ জীবনে অন্ধকারই কেবল বিরাজ করবে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই চ্যালেঞ্জ আমাদের আগের কোনো সরকারই গ্রহণ করেনি। আজকের দুনিয়ায় যত উন্নত দেশ রয়েছে, তাদের উন্নয়নের অন্যতম প্রধান শক্তি হিসেবে কাজ করেছে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের জন্য উৎপাদন ব্যবস্থায় বিপ্লবী উদ্যোগ গ্রহণ করা। আমাদের দেশে এই ধারণাই অনুপস্থিত দেখা গেছে। ২০০৯ সাল থেকে বিদ্যুৎ খাতে বড় ধরনের পরিকল্পনা নিয়ে শেখ হাসিনার সরকার ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কুইক রেন্টাল থেকে শুরু করে নানা ধরনের উদ্যোগ, প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসা শুরু করে। অনেক বড় বড় মেগা প্রকল্প হাতে নেয়া হয়। বাংলাদেশ এর আগে মেগা প্রকল্পের কথা ভাবতেই পারেনি। বিদ্যুৎ খাতে যে পরিবর্তন ঘটেছে সেটি নিয়ে আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এই পরিবর্তন না ঘটলে আমাদের শিল্প, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও সমাজজীবনে বসবাস অসম্ভব হয়ে পড়ত। জাতীয় ইতিহাসের এক বিরাট চ্যালেঞ্জকে এই সময় গ্রহণ করার মাধ্যমে দেশের গোটা চেহারাই বদলে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। কিন্তু চাহিদাও দ্রুত গতিতেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে সরবরাহ ও চাহিদার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা কখনো কখনো সম্ভব হচ্ছে না। অবকাঠামোগত দুর্বলতা রাতারাতি কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব হচ্ছে না। অদক্ষতা, প্রতিকূলতা, পুরনো ধ্যান-ধারণা, অপচয়, অপব্যবহার ইত্যাদি তো রয়েছেই; এর পরও বিদ্যুৎ আমাদের বাংলাদেশকে উন্নয়নের যে গতি দিয়েছে সেটিকে যারা অস্বীকার করেন, তারা নিজেরা কী দিতে পেরেছেন, কী দিতে পারবেন সেই প্রশ্ন করা হলে তার উত্তর তারা হয়তো দেবেন কিন্তু নিকট অতীতে সেই সক্ষমতার ছিটেফোঁটাও তাদের মধ্যে দেখা যায়নি। দেশে কয়েকটি সমুদ্রবন্দর হয়েছে, পদ্মা সেতু হয়েছে, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র হচ্ছে, কর্ণফুলী টানেল উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, যোগাযোগব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে, ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে। আরো অসংখ্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে, শেষ হওয়ার অপেক্ষায় আছে। এসবই সবার জানা কথা। কিন্তু যখন বলা হয়, মেগা প্রকল্প মানে মেগা দুর্নীতি, তাহলে মেগা প্রকল্প নেয়াটাই কি বন্ধ করে রাখা উচিত ছিল। দুর্নীতি কোন আমলে হয়নি। সেই হিসাব ভিন্ন প্রসঙ্গ। কিন্তু দেশটা তো এই ১৫ বছরে খাদ্য উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য, গ্রামীণ জীবনব্যবস্থার পরিবর্তনে যে পরিমাণ উন্নতি সাধন করতে পেরেছে তার গুরুত্ব অস্বীকার করার উপায় নেই। যদি অর্থনীতির সবক্ষেত্রে এতসব পরিবর্তন না সাধিত হতো তাহলে করোনার দুই বছরে যে ধাক্কা গোটা সমাজজীবনের ওপর পড়ত সেটি সামাল দেয়া আগের ধারায় পরিচালিত সরকারদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব হতো না। করোনাকালে বাংলাদেশ করোনা মোকাবিলায় যেমন সাফল্য দেখিয়েছে, বিনামূল্যে টিকা প্রদানের কৃতিত্ব দেখিয়েছে, মানুষের মুখে অন্ন দেয়ার সক্ষমতা থাকায় সেটি দিতেও পেরেছে। রাষ্ট্রীয় এবং সরকারিভাবে যেসব প্রণোদনা দেয়া হয়েছে, তা কী আকাশ থেকে উড়ে এমনি এমনি এসে পড়েছিল? ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশের অর্থনীতির গতিধারা যেভাবে ঊর্ধ্বমুখী ছিল, তার ফলেই আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়েছিল করোনার সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা। মনে রাখার বিষয় হচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের জীবনে তখন যে অবস্থাটি তৈরি হয়েছিল সেটি সরকারপ্রধান হিসেবে শেখ হাসিনার মতো একজন করিতকর্মা, বাস্তবোচিত এবং বুদ্ধিদীপ্ত নেতা দায়িত্বে থাকার কারণে অনেক কিছু সম্ভব হয়েছে যে সেটি তো আমরা চোখ বন্ধ করে অস্বীকার করতে পারব না। করোনা শেষে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে মার্কিন অর্থনৈতিক অবরোধ, ডলার সংকট, বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট ইত্যাদিতে গোটা বিশ্বই নাকানি-চোবানি খেয়েছে, খাচ্ছে। আমরা এর থেকে পুরোপুরি মুক্ত থাকব এমনটি কল্পনা করা যায় না। ধাক্কা আমাদের জীবনেও এসে পড়েছে, তারপরও আমাদের দেশের মানুষ না খেয়ে নেই। আরো অনেক বিষয়ই রয়েছে, যেগুলোতে দেশে বড় ধরনের পরিবর্তন এসেছে। এরপরও আমরা বলব না, সরকারের সব কাজেই শতভাগ মানুষ সন্তুষ্ট হতে পেরেছে। স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাজকর্মেও অনেক সমালোচনা ছিল। কোনো কোনো এমপি-মন্ত্রী ও নির্বাচিত প্রতিনিধির ভূমিকা, কাজকর্ম সেই আসনের অনেকেরই সন্তুষ্টি বিধান করতে পারেনি, সমালোচনারও জন্ম দিয়েছেন এমন জনপ্রতিনিধির সংখ্যাও একেবারে কম নয়। তাছাড়া জনপ্রতিনিধি নন কিন্তু আওয়ামী লীগের পদ-পদবি কিংবা পদবির বাইরেও অনেকেই দলের চাইতে নিজের স্বার্থে দলের নাম ব্যবহার করে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন। বিশেষ করে সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন ভাতা ও কার্ড বিতরণে স্থানীয় পর্যায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেউ কেউ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ধরনের ঘটনা যেখানে ঘটেছে সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা যে দূরত্ব তৈরি করেছে তা ভোটের ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া দলের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির চেষ্টা খুব বেশি করেছেন এমনটি অনেক জায়গায় খোঁজ নিলে পাওয়া যাবে না। দলের নাম ভাঙিয়ে কেউ কেউ নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। তারা যদি নির্বাচনকালে সম্মুখে আসেন তাহলে কারো কারো ভোট প্রাপ্তিতে টান পড়তে পারে। ভোটের ময়দান বেশ জটিল। ভোট প্রদানে অনেকের হিসাব-নিকাশ যার যার মতো। অনেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন সত্য, কিন্তু ভোটের সময় কী সিদ্ধান্ত নেবেন সেটি তখনকার তাদের মনোবৃত্তির ওপরই নির্ভর করবে। এ ধরনের অনেক সূ² বিষয়-আ?য় রয়েছে, যেগুলো নির্বাচনকালে কোথাও ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়, কোথাও আবার ততটা নাও হতে পারে। তবে প্রার্থী মনোনয়নের বিষয়টি প্রতিটি নির্বাচনী আসনের ক্ষেত্রে দল যদি ভোটারদের পছন্দ, অপছন্দের হিসাব-নিকাশকে সূ²াতিসূ²ভাবে বিচার-বিশ্লেষণ না করে প্রদান করে তাহলে অনাকাক্সিক্ষত অনেক ঘটনা ঘটেও যেতে পারে। প্রতিটি আসনেই বড় দলগুলোর মধ্যে অনেকেই মনোনয়ন প্রত্যাশী হতে পারেন। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের অবস্থান কার দিকে বেশি যেতে পারে সেই তথ্য নির্ভুলভাবে না থাকলে ভুল মনোনয়ন প্রথম থেকেই পরিস্থিতিকে পাল্টে দিতে পারে। একটি আসনে ভোটারের অবস্থান ও দূরত্ব যত দূরেরই হোক না কেন, অপেক্ষাকৃত গ্রহণযোগ্য প্রার্থীর প্রতি সমর্থনটি তৈরি হতে গোটা নির্বাচনী এলাকাতেই খুব বেশি সময় নেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। দলীয় ভোটারদের মধ্যেও যেহেতু গ্রুপিং আছে, পছন্দ-অপছন্দ রয়েছে, এর ঊর্ধ্বে উঠে দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে সবাই ভোট দিয়ে থাকেন এমন অভিজ্ঞতা সব জায়গায় সব সময় একরকম দেখা যায় না। এখন দলীয় সভাপতির সম্মুখে অনেকেই অনেক প্রতিশ্রæতি দিতে পারে। কিন্তু মনোনয়ন দানকালেই চিত্রটি কোথাও কোথাও পাল্টে যেতে পারে। মনোনয়ন না পেলে অনেকেই যে সমর্থকদের নিয়ে হাত গুটিয়ে বসে থাকেন, সেই অভিজ্ঞতাও কম নেই, আবার ওই রকম প্রার্থীই যখন মনোনয়ন পান, তখন তিনি আশা করেন সবাই তাকে বিজয়ী করতে একাট্টা হয়ে মাঠে থাকবে। কিন্তু সে রকম পরিস্থিতি অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় না। আওয়ামী লীগের মতো রাজনৈতিক দলে এখন এমপি পদে মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা প্রায় সর্বত্রই অনেক। নিজের ভোট কেমন আছে কি নেই, সেটি অনেকেই বিবেচনা করেন না। নৌকার মনোনয়ন পেলেই তিনি মনে করেন তার জীবন ধন্য হয়ে গেছে। কিন্তু মাঠটা তার পক্ষে আছে কিনা সেটিই বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে দল নিরপেক্ষ যে ৪০-৪৫ শতাংশ ভোটার প্রতিটি আসনে রয়েছে, তাদের ভোটপ্রাপ্তির ওপরই জয়-পরাজয়ের বড় অংশ নির্ভর করে। শুধু দলের সমর্থকের ভোট দিয়ে এখন এত বড় নির্বাচনে জয়লাভ করা সবার পক্ষে সম্ভব নয়। সে কারণে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নদানে যোগ্যতা, দেশপ্রেম, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ও সততার বিষয়টি বিশেষভাবে বিবেচনায় আসার প্রয়োজন রয়েছে। এই নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বা জোট হয়তো চমক সৃষ্টি করে তাদের প্রস্তুতি নিয়ে শেষ মুহূর্তে অংশ নিতেও পারে। সেটিকে মোকাবিলা করার জন্য দলের সভানেত্রী সমাপনী বক্তৃতায় যা বলেছেন সেখানেই বোধহয় অনেক সমস্যার সমাধান পাওয়া যেতে পারে।

মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী : অধ্যাপক (অবসরপ্রাপ্ত), ইতিহাসবিদ ও কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App