×

খেলা

ওভালে চাপে টিম ইন্ডিয়া

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৩, ০৯:৪৯ এএম

ওভালে চাপে টিম ইন্ডিয়া

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন শিপের ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ওভালে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১২১.৩ ওভারে সবকটি উউকেট হারিয়ে ৪৬৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় অজিরা। প্রথম দিনের সেঞ্চুরিয়ান ট্রাভিস হেড থামেন ১৭৪ বলে ১৬৩ রান করে। আর দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরি পূরণ করেন স্টিভেন স্মিথ। এই টপ অর্ডার ব্যাটার আউট হন ২৬৮ বলে ১২১ রান করে। ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন পেসার মোহাম্মদ সিরাজ।

রান তাড়ায় ব্যাট করেত নেমে এই রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ২ উইকেট হারিয়ে ৪৯ রান। ১৪ রানে অপরাজিত আছেন চেতাশ্বর পূজারা ও ৫ রানে অপরাজিত আছেন বিরাট কোহলি। এর আগে ১৫ রানে আউট রোহিত শর্মা ও ১৩ রানে সাজ ঘরে ফিরেন শুভমান গিল।

এর আগে প্রথম দিন ৩ উইকেটে ৩২৭ রান তুলে শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। হেড অপরাজিত ছিলেন ১৪৬ রানে আর স্মিথ অপরাজিত ছিলেন ৯৫ রানে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই সেঞ্চুরির দেখা পান স্মিথ। প্রথম দিনের শেষে সেঞ্চুরি পূরণ করতে মাত্র পাঁচ রান প্রয়োজন ছিল তার। দুটি চার হাকিয়ে তা পূর্ণ করেন তিনি। এর মাঝে ১৫০ রান পার করেন হেড। এই দুই ব্যাটার মিলে ২৮৫ রানের জুটি গড়ার পর ভাঙে তাদের জুটি। মোহাম্মদ সিরাজের বলে উইকেট রক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৬৩ রানে থামে হেডের ইনিংস। এর পরপরই ক্যামেরুন গ্রিনকে মাত্র ৬ রান সাজঘরে ফেরান মোহাম্মদ শামি।

সেঞ্চুরি পূর্ণ করার পর ইনিংস বেশি লম্বা করতে পারেননি স্মিথ। শার্দুল ঠাকুরের বলে ১২১ রানে বোল্ড হন স্মিথ। ৩১তম টেস্ট সেঞ্চুরি করে স্মিথ ছাড়িয়ে গেছেন সাবেক অজি ওপেনার ম্যাথু হেইডেন এবং উইন্ডিজ ব্যাটার শিবনারায়ণ চন্দরপলকে। সাবেক দুই কিংবদন্তী ক্রিকেটার টেস্টে ৩০টি করে সেঞ্চুরি করেছিলেন। একইসঙ্গে স্মিথ বর্তমানে খেলছেন এমন ক্রিকেটারদের মধ্যে সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির মালিকও। তার পরের অবস্থানে থাকা ইংল্যান্ড ব্যাটার জো রুটের সেঞ্চুরি ২৯টি। সেঞ্চুরি পূরণ করার আগেই গতকাল স্টার স্পোর্টসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে স্মিথকে এই প্রজন্মের সেরা ক্রিকেটার বলেন বিরাট কোহলি।

তিনি বলেন, ‘আমার মতে এই প্রজন্মের সেরা টেস্ট ক্রিকেটার স্মিথ। পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার তার যে ক্ষমতা, সেটা দুর্দান্ত আর সেটা সে অনেক বছর ধরে দেখিয়ে আসছে। ৮৫-৯০ টেস্ট খেলে তার ব্যাটিং গড় ৬০ এর আশপাশে, যা অনেকটাই অবিশ্বাস্য। স্মিথ ব্যাট হাতে যতটা ধারাবাহিক, ম্যাচে তার রানের যে প্রভাব, তা গত ১০ বছরে অন্য কোনো ক্রিকেটারের মধ্যে আমি দেখিনি।’

এরপর অক্ষর প্যাটেলের ছোড়া বলে রান আউট হন স্টার্ক। তার ব্যাট থেকে আসে ৫ রান। কিছুটা মারমুখী হয়েছিলেন উইকেট রক্ষক ব্যাটার অ্যালেক্স ক্যারি। তবে ৪৮ রানে তাকে থামিয়ে দেন রবীন্দ্র জাদেজা।

সোজা বলে ব্যাটের লাইন ভুল করে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। উমেশের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ৯ রানে আউট হন অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ৯ রানে সিরাজের বলে আউট হন স্পিনার নাথান লায়ন। ফলে ৪৬৯ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে প্রথম ইনিংস শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। ১ রানে অপরাজিত থাকেন বোলাল্ড। ভারতের হয়ে ২৮.৩ ওভার বল করে ১০৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন সিরাজ। দুটি করে উইকেটের দেখা পান মোহাম্মদ শামি ও শার্দুল ঠাকুর। একটি উইকেট নেন রবীন্দ্র জাদেজা।

স্মিথের সেঞ্চুরি পূরণ হওয়ার পর নতুন রেকর্ড হয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে। ২০২১ সালে প্রথম টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করতে পারেনি কোন ব্যাটার। তবে ২০২৩ এর প্রথম দিনেই প্রথম সেঞ্চুরি করেন ট্রাভিস হেড। এটি ছিল ফাইনালে প্রথম সেঞ্চুরি। এরপর দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু হতে না হতেই প্রথম ওভারেই সেঞ্চুরি করেন স্মিথ। অস্ট্রেলিয়াই এখন একমাত্র দল যার দুই ব্যাটার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছেন। এই রেকর্ড ভাঙা সহজ হবে না।

আইসিসির কোন ফাইনাল খেলায় একই দলের দুই ক্রিকেটার সেঞ্চুরি করার ঘটনা এবারই প্রথম। চতুর্থ উইকেটে স্মিথের সাথে ৩৭০ বলে অবিচ্ছিন্ন ২৫১ রানের জুটি নিয়ে হেড বলেন, যখনই আমি ব্যাট করি তখনই মনে হয় আমি স্মিথের ছায়ায় আছি, তার ছায়াতলে থেকে আমি নিজের মত খেলতে পারি কারণ সব আকর্ষণ স্মিথের উপরই থাকে।

আমাদের জুটিটি সত্যিই ভালোভাবে কাজে দিয়েছে। আমার অর্জনে নতুন একটি মাত্রা যোগ হলো, ভবিষ্যতে এটিকে আমি সুন্দর স্মৃতি হিসেবে দেখবো। এর আগে প্রথম দিন মাত্র দলীয় রান মাত্র ২ হতেই অভিজ্ঞ ওপেনার উসমান খাজা আউট হয়ে যান। এরপর সেই চাপ ভালোভাবেই সামাল দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্নাস লাবুশেন। দুজনের ৬৯ রান জুটির পর ওয়ার্নার ফিফটি থেকে ৭ রান দূরে থাকাবস্থায় আউট হয়ে যান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App