×

জাতীয়

প্রতিবার মাদক পরিবহনে চালকই নিতেন লাখ টাকা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৩, ০৪:৩৮ পিএম

প্রতিবার মাদক পরিবহনে চালকই নিতেন লাখ টাকা
প্রতিবার মাদক পরিবহনে চালকই নিতেন লাখ টাকা

* চক্রের ভরসা ‘নারী ক্যারিয়ার’ * মূলসমন্বয়কসহ গ্রেপ্তার ২

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে নানা কৌশলে ট্রাকে করে ইয়াবা আনতো চক্রটি। পরে পেটিকোটে বিশেষভাবে সেলাই করে ইয়াবাগুলো ছড়িয়ে দেয়া হতো রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়সহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। ব্যবসায়ীদের কাছে ইয়াবা পৌছে দিতে চক্রের প্রধান ভরসা বেশ কয়েকজন নারী সদস্য। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর চোখ এড়াতে ওই নারীরাই পেটিকোটগুলো পড়ে পৌছে যেত মাদক ব্যবসায়ীদের ঠিকানায়। আর টেকনাফ থেকে প্রতিবার ইয়াবা আনতে ট্রাক চালককে দেয়া হতো লাখ টাকার বেশি।

এভাবে দীর্ঘদিন ব্যবসা করার পর এই চক্রের মূলহোতা মো. শাহজাহান ও তার সহযোগী ট্রাক চালক মো. আলমগীরকে গ্রেপ্তার করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)। বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডিএনসি ঢাকা মেট্রো. (উত্তর) কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে ধারাবাহিক অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় ২৫ হাজার ইয়াবা ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিএনসি ঢাকা মেট্রো. (উত্তর) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কার্যালয়টির উপ-পরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

মো. রাশেদুজ্জামান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ীর গোপিবাগ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ট্রাক চালক আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াবাগুলো সে ট্রাকের স্পেয়ার চাকায় বিশেষ কৌশলে পরিবহন করছিল। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী সাভারের হেমায়েতপুর থেকে ১৫ হাজার পিস ইয়াবাসহ উত্তরাঞ্চলে ইয়াবা সরবারহের মূল সমন্বয়কারী শাহজাহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। শাহজাহানই টেকনাফের বিভিন্ন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আলমগীরের মাধ্যমে নিজ বাসায় ইয়াবা মজুত করতো। পরে পেটিকোটে বিশেষভাবে সেলাই করে ইয়াবাগুলো নারী ক্যারিয়ারদের মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দিতো।

মো. রাশেদুজ্জামান আরো জানান, টেকনাফ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় পণ্য পরিবহনের সুবিধার্থে বিভিন্ন ইয়াবা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ট্রাক চালক আলমগীরের স্যতা তৈরী হয়। ওই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন জেলায় ইয়াবা পৌছে দিতো সে। এজন্য প্রতি ট্রিপে সে ১-২ লাখ টাকা পেত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহজাহান জানিয়েছে, তার নামে দুইটি মাদক মামলা রয়েছে। পাশাপাশি তাদের দুজনের নামেই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করেছে ডিএনসি।

এক প্রশ্নের জবাবে উপপরিচালক মো. রাশেদুজ্জামান আরো বলেন, বাস ও ট্রাকে ইয়াবা পরিবহনের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। এজন্য আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি, বাস ও ট্রাক মালিকদের সঙ্গে বসে নজরদাড়ি বাড়ানোর বিষয়ে আলাপ করার জন্য। পাশাপাশি ডিএনসিও নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, গ্রেপ্তারকৃত চক্রে নারী ক্যারিয়ার কারা, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App