×

জাতীয়

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে অপচিকিৎসা!

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৩, ০৩:২৬ পিএম

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে অপচিকিৎসা!

ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল। ফাইল ছবি

এবার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে অপচিকিৎসার অভিযোগ। অভিযুক্ত চিকিৎসক হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালটেন্ট অ্যান্ড হেড অব কার্ডিও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা মাছুম সিরাজ। এই অভিযোগ এনেছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কাঞ্চন কুমার দে (৬২)।‌ তিনি দাবি করেছেন, অপচিকিৎসার শিকার হয়ে জীবন সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) কাঞ্চন কুমার দে সাংবাদিকদের বলেন, মৃত্যুপথযাত্রী একজন রোগীর সঙ্গে চিকিৎসা নিয়ে যা করা হয়েছে, একে অপচিকিৎসা বলব, না প্রতারণা বলবো? একজন রোগী হাসপাতালে যান বাঁচতে, মরার জন্য নয়। আর বাঁচার জন্য রোগীকে লাখ লাখ টাকাও ব্যয় করতে হয়। কিন্তু একজন অর্থলোভী, অমানবিক ও হৃদয়হীন চিকিৎসক যদি এমনটি করেন তাহলে প্রতারণা বলা কি বেশি বলা হবে? এমন ঘটনাই আমার সঙ্গে ঘটেছে। এই প্রতারণার সুবিচার চেয়ে গত ৫ মে আমি বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্টার বরাবর আবেদন করেছি।

কাঞ্চন কুমার দে বলেন, গত ২২ ডিসেম্বর বুকে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে রাতে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে এনজিওগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারি আমার হার্টে ৫টি ব্লক আছে। সেই অনুযায়ী গত ৩১ ডিসেম্বর ওই হাসপাতালের সিনিয়র কন্সালটেন্ট এন্ড হেড অফ কার্ডিও সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মাছুম সিরাজের নেতৃত্বে একদল চিকিৎসক তার ওপেন হার্ট সার্জারি করে। তারপর থেকে প্রথমে ডা. শাহনূর আজিজ ও পরে প্রফেসর ডা. রেজাউল করিমের অধীন নিয়মিত চেকআপ করে আসছেন।

কিন্তু গত মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে তিনি মাঝে মাঝেই বুকে ব্যথা অনুভব করতেন। এমন অবস্থায় গত ১ এপ্রিল রাত ১১টায় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হয়। এরপর ‘স্প্রে নিডোকার্ড’ নিলে বুক ব্যথা কমে যায়। এরপর প্রফেসর ডা. রেজাউল করিমকে মোবাইলে ফোন করলে তিনি পরের দিন সকালে হাসপাতালে যেতে বলেন। সেই পরামর্শ অনুযায়ী কাঞ্চন দে গত ২ এপ্রিল হাসপাতালে গেলে চিকিৎসক একটি টেস্ট করতে দেন। টেস্ট রিপোর্টে দেখা যায় ওই দিন রাতে ১ এপ্রিল তার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়।

কাঞ্চন দে বলেন, ডা. রেজাউল করিম হার্টের সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য পরের দিন ৩ এপ্রিল ‘এনজিওগ্রাম’ করান। এতে দেখা যায় ওপেন হার্ট সার্জারির পর দুটি ব্লকের একটি ৯০ শতাংশ অপরটি ৮০ শতাংশ (যা প্রথম এনজিওগ্রাম রিপোর্টে ছিল) আর এই এনজিওগ্রামের সময়ই এই দুটি ব্লকে রিং পরানো হয়। এখন প্রশ্ন হলো-ওপেন হার্ট সার্জারিতে পাঁচটি ব্লকের মধ্যে তিনটি কেন ক্লিয়ার করা হলো আর দুটি কেন ক্লিয়ার করা হলো না? মাত্র তিন মাসের মধ্যে আমি তো মৃত্যুর মুখে চলে যাচ্ছিলাম। ডা. মাছুম সিরাজের এহেন অপচিকিৎসার (এক ধরনের প্রতারণা) কারণে আমার জীবন মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়ে। এ ধরনের প্রতারণায় আমি শুধু বিপুল অঙ্কের আর্থিক ক্ষতির মুখেই পড়িনি- শারীরিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে বলতে গেলে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এলেও বর্তমানেও জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছি।

এ বিষয়ে জানতে ডা. মাছুম সিরাজেকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App