সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার নাজিরবাজারে কুতুবপুর এলাকায় ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানের সংঘর্ষে ১৪ জনের মৃৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৭ জুন) ভোরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের কুতুবপুর এলাকায় বালুবাহী ট্রাক ও যাত্রীবহনকারী পিকআপের সংঘর্ষে এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া অধিকাংশের বাড়ি সুনামগঞ্জে। তারা সবাই নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানা গেছে।
এদেরই একজনের নাম দুলাল মিয়া (২৬)। তিনি সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের মৃত হারুন মিয়ার ছেলে। তার বড় ভাই হেলাল আহমদ প্রায় তিন মাস আগে একটি দুর্ঘটনায় মারা যান। তিনি স্ত্রী শারমিন বেগম (২৫) ও দুই সন্তানকে রেখে গেছেন।
এদিকে, হেলাল আহমদকে হারিয়ে ছোট ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন শারমিন। তার এই অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে পরিবারের সিদ্ধান্তেই মৃত হেলালের ছোট ভাই দুলালের সঙ্গে শারমিনের বিয়ে হয়।
এরপর শারমিন ফের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন দুলালকে নিয়ে। কিন্তু মাত্র তিন মাসের মধ্যেই এই স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে রূপ নিলো। সড়কেই ঝড়ে গেলো শারমিনের দ্বিতীয় স্বামী দুলাল মিয়ার জীবন প্রদীপ।
হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে কাঁদতে কাঁদতে নিহত দুলাল মিয়ার ফুপাতো ভাই মো. শাহীন শাহীন জানান, দুলালের বড় ভাই হেলাল আহমদ প্রায় তিন মাস আগে দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মাসখানেক আগে পরিবারের লোকজন হেলালের স্ত্রী শারমিন বেগমকে (২৫) বিয়ে দেন দুলাল মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের দুই সপ্তাহ পর কাজের জন্য সিলেটে আসেন দুলাল। থাকতেন আম্বরখানা সাপ্লাই এলাকার ভাড়া বাসায়। দুলালের মৃত্যুতে তার পরিবারের সাথে সাথে স্ত্রী শারমিন বেগমও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বিকেলে দুলালের লাশবহনকারী এম্বুল্যান্স এলাকায় ডুকলে কান্নার রুল পড়ে চারিদিকে। লাশ দেখতে ছুটে আসেন এলাকাবাসী। পরে জানাযা শেষে এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয় দুলাললে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।