দেশি-বিদেশি যতই চাপ আসুক, মাথা নত করবো না

আগের সংবাদ

বাজেটে পরিসংখ্যান নিয়ে খেলা হয়েছে

পরের সংবাদ

মিরসরাইয়ে বিএনপির মোটর শোভাযাত্রায় হামলা, আহত ১৫

প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৩ , ৫:৪৫ অপরাহ্ণ আপডেট: জুন ৭, ২০২৩ , ৫:৪৫ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের মোটর শোভাযাত্রায় যুবলীগ-ছাত্রলীগের কর্মী কর্তৃক হামলার অভিযোগ উঠেছে। এই সময় যুবদল-ছাত্রদলের ১৫জন নেতাকর্মী আহত হন। ভাংচুর করা হয় ৬টি মাইক্রোবাস ও ১২ টি মোটরসাইকেল।

নুরুল আমিন চেয়ারম্যান সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরে বাড়ি যাওয়ার পথে বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা হলো চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইফতেখার মাহমুদ জিপসন, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিনহাজ উদ্দিন সোহান, করেরহাট ইউনিয়ন যুবদল নেতা আকতার, হকসাব, জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদল নেতা ফারুক, ধুম ইউনিয়ন যুবদল নেতা জিয়াউল ফারুক, হেলাল, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রাসেল মির্জা, মিরসরাই সদর ইউনিয়ন যুবদল নেতা দিদার, সোহেল, মহিউদ্দিন, মিরসরাই পৌরসভা ছাত্রদল নেতা রাব্বি, মামুন, ইব্রাহিম, ইছাখালী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা জুবায়ের, সৌরভ ও ছাত্রদল নেতা অনিক। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে বুধবার সকালে উপজেলার ওচমানপুর এলাকায় আলোচনা সভার আয়োজন ছিলো। যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা মোটর শোভাযাত্রা করে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের সাথে ওচমানপুর যাচ্ছিলেন।

উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। আমরা সংঘাত চাইনা। বিএনপি শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা চাই সুস্থ ধারার রাজনীতির মাধ্যমে মিরসরাইকে এগিয়ে নিতে। তিনি আরও বলেন, হামলায় আমাদের যুবদল-ছাত্রদরে ১৫ জন নেতকর্মী আহত, ৬ টি মাইক্রোবাস ও ১২ টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এই ঘটনায় জোরারগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম মাষ্টার বলেন, আমাদের কোন কর্মসূচী ছিলো না। বিএনপির কোন্দলের কারণে নিজেদের মধ্যে নিজেরা মারামারি করে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের উপর দোষ চাপিয়ে দিচ্ছে।

জোরারগঞ্জ থানার ডিউটি অফিসার এসআই সাইফুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ আসে নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএম

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়