ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল গ্রামে পানাইল মৌজার ৩০ নং দাগে জমির ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
জানা যায়, উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের পানাইল গ্রামের মো. উজির শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম রাসেল বাদি হয়ে ফরিদপুর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একই গ্রামের ঠান্ডা মিয়ার দুই ছেলে মো. আব্দুল্লাহ ওরফে শেখ শহীদুল্লাহ ও মো. হাবিবুল্লাহসহ আকমল মোল্যার ছেলে আঃ রহমান মোল্যা ও রহমান মোল্যার ছেলে ইকবাল মোল্যাকে বিবাদী করে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন। যার পিটিশন নং-৩৫০/২৩ইং। নালিশী জমি উপজেলার পানাইল মৌজার বি এস ৩৬৭ নং খতিয়ানভুক্ত বিএস দাগ নং ৩০ নং দাগের ২৯ শতাংশ মধ্যে অত্র খতিয়ানে রেকর্ডকৃত ১৫ শতাংশ জমিসহ সর্বমোট ৬৭ শতাংশ জমির মধ্যে বিএস একই দাগের ২৯ শতাংশের মধ্যে ১৫ শতাংশ দাবীকৃত জমি। যার উত্তরে- জামিল উদ্দিন, দক্ষিনে- রাস্তা, পূর্বে- সাখাওয়াত, পশ্চিমে- জামিল উদ্দিন।
পিটিশন সূত্রে জানা যায়, ওই তফসিলভুক্ত ভূমিতে কোন পক্ষই ভোগ দখল কিংবা কোন প্রকার কাজ করা যাবে না। পিটিশনে আরও উল্লেখ আছে আগামী ১৯ জুলাই ২০২৩ ইং তারিখ পর্যন্ত এ রায় কার্যকর বলবৎ থাকবে। আরও বলা হয়েছে যে, নিষেধাজ্ঞা জমিতে কোন আকার,আকৃতি, পরিবর্তন, পরিবর্ধন, বা কোন প্রকার কোন স্থাপনা নির্মান করা যাবে না। বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে বিরোধীয় সমস্যা সমাধান করা হবে। অন্যথায় অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কিন্তু আদালতের নির্দেশ অমান্য ও ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে শহীদুল্লাহ এর নেতৃত্বে জোরপূর্বক নালিশি জমির ওপর পাকা ঘর নির্মাণ করছেন এমনটায় অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।
আদালতের নির্দেশ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখতে বিবাদীদের নির্দেশ দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে আসলে বিবাদীরা পাকা ঘর নির্মাণের কাজ চলমান আছে বলে অভিযোগ করেন নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক ইউপি সদস্য।
মামলার বাদি শহিদুল ইসলাম রাসেল বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও এ জমিতে বিবাদীরা জোরপূর্বক ঘর নির্মাণ করছেন। পুলিশ বিবাদীদের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে চলে আসলে বিবাদীরা ঘরের কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আমার বাবা চাকরি করেন। সেকারণে তিনি বাড়িতে থাকতে পারেন না। এ সুযোগে ওরা জমি দখল করে পাকা ঘর নির্মাণ করছে।
অভিযুক্ত মো. আব্দুল্লাহ ওরফে শেখ শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের জমিতেই ঘর নির্মাণ করেছি। আমাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ ভিক্তিহীন ও বানোয়াট।
জানতে চাইলে,আলফাডাঙ্গা থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) বিনয় বাড়ৈ ভোরের কাগজকে জানান, আদালতের আদেশ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রতিবেদন আদালতে পাঠানো হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।