×

জাতীয়

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতে বন্ধুকে হত্যা, গ্রেপ্তার ঘাতক

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৬ জুন ২০২৩, ০৪:১৯ পিএম

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতে বন্ধুকে হত্যা, গ্রেপ্তার ঘাতক

ঘাতক আল-আমিন। ছবি: ভোরের কাগজ

স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতে বন্ধুকে হত্যা, গ্রেপ্তার ঘাতক

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ

রাজধানীর কদমতলী থানার পশ্চিম মোহাম্মদবাগ এলাকা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধারের ঘটনায় জড়িত ঘাতকক আল-আমিন শেখকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার ওয়ারি বিভাগ। ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) বলছে, বস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশটি ছিল। ইমন কাজীর (১৭)। তার সঙ্গে ঘাতক আল-আমিন শেখের স্ত্রীর পরোকীয়া চলছিল। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে ইমনকে হত্যা করে সে। গত সোমবার (৫ জুন) বরিশালের জেলার হিজলা থানার গোবিন্দপুর খন্না এলাকায় আল-আমিনের শ্বশুরবাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মঙ্গলবার (৬ জুন) দুপুরে এ তথ্যটি জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, গত ৩ জুন ডিএমপির কদমতলী থানার পশ্চিম মোহাম্মদবাগ সোনা মারিয়া জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশ থেকে বস্তা বন্দি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশটি শনাক্ত করার পরে নিহতের বাবা মো. লিটন কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৫। এরই ধারাবাহিকতায় ছায়া তদন্ত শুরু করে ডিবির ওয়ারি বিভাগের ডেমরা জীনাল টিম তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার সঙ্গে জড়িতকে শনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল সোমবার অভিযান চালিয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

[caption id="attachment_437248" align="aligncenter" width="853"] সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ[/caption]

যেভাবে হত্যা:

গ্রেপ্তার ঘাতকের বরাত দিয়ে হত্যার বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, নিহত ইমন ও আল আমিন এক সঙ্গে অটোরিকশা চালানোর সূত্রে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। যার কারণে ভুক্তভোগী ইমন ঘাতক আল আমিনের বাসায় যাতায়াত করত। যার কারণে আল-আমিনের স্ত্রী মোছা. তানিয়া বেগমের (২২) সঙ্গে পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইমনের অটোরিক্সায় তানিয়া বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি। করত। এ বিষয় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্যের সৃষ্টি হয়। প্রতিশোধ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। এরই অংশ হিসেবে ইমনের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার দেয়। পরবর্তীতে সেই টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে আল- আমিন। পরে ৩০ মে নিহত ইমনকে কৌশলে বাসায় ডেকে আনে আল আমিন।

বাসায় এনে কোমল পানীয়র সঙ্গে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাওয়ায়। খাওয়ার পর তাদের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায়ে ইমনকে ধাক্কা দিলে দেয়ালের সঙ্গে আঘাত খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। পরবর্তীতে গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে।

লাশ গুম যেভাবে:

হত্যার পরে নিহত ইমনের অটোরিকশাটি গেন্ডারীয়া থানার গঙ্গা শাহ মাজারের সামনে ফেলে আসে। পরে বাসায় এসে ঘুমায়। ঘুম শেষে দোকান থেকে বস্তা কিনে বাসায় নিয়ে যায়। এরপর বস্তায় লাশ ভরে নিজের অটোরিকশায় করে নিয়ে পশ্চিম মোহাম্মদবাগ সোনা মসজিদের পাশের একটি খালি প্লটে ফেলে আসে। এরপর বরিশালের হিজলা উপজেলায় শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App