চিত্রনায়ক রাজ ও পরী মণির দাম্পত্য কলহের ইস্যু রীতিমত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। শোবিজ পাড়ায় চলছে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। এর শুরুটা হয়েছিল অভিনেতা রাজের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন অভিনেত্রীর কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ফাঁসের মধ্য দিয়ে। ভিডিওতে তানজিন তিশা, নাজিফা তুষি ও সুনেরাহ বিনতে কামালকে দেখা যায়।

ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় অভিনেত্রী সুনেরাহ তাৎক্ষণিক এক প্রতিক্রিয়ায় ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, এসব শরিফুল রাজের স্ত্রী (পরী মণি) করেছেন। তিনিই তাদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও ফাঁস করেছেন।

এরপরই পরী মণি সংবাদমাধ্যমে জানান, তিনি ভিডিও ও ছবি ফাঁস করেননি। আরো জানান, তার স্বামী শরিফুল রাজ ১০-১৫ দিন ধরে তার সঙ্গে নেই। এ অবস্থায় ভিডিও ফাঁস কিছুতেই সম্ভব না বলেও জানান এ নায়িকা।

অপরদিকে সংবাদমাধ্যমকে রাজ জানান, ছবি ও ভিডিও ফাঁসের আগ মুহূর্তে পরীমনির সঙ্গে কথা হয়েছে তার। এবার পরী মণি জানালেন, তাদের মধ্যে সেই রাতে কী কথা হয়েছিল।

আজ সোমবার একটি সংবাদমাধ্যমকে পরী মণি বলেন, যেদিন ভিডিওগুলো রাজের অ্যাকাউন্ট থেকে আপলোড হয়, সেদিন মাঝরাতে তার সঙ্গে আমার কথা হয়। সেসময় সে বলেছিল সন্তান রাজ্যকে দেখতে আসতে চায় সে।

অভিনেত্রী বলেন, সে কোথায় যায়, না যায়, কেউ একটা ছবি তুলে রাখলেই বা সিসিটিভি ফুটেজ ক্যামেরায় সহজেই শনাক্ত করা যায়। এসব তো বের করা খুবই সহজ বলে মনে হয় আমার কাছে। সেখান থেকে আমাকে কেউ যদি নক করে,ভাইয়াকে তো ওমুক ওমুক জায়গায় দেখা গেল। সেক্ষেত্রে ওকে আমি বললাম, দেখো, এতে তোমার ফ্যামিলির ওপরও ইমপ্যাক্ট পরে। যেটা গোপন, সেটা গোপনেই করো। সেটা কেন আমার কাছে আসছে। এটা তো খুবই খারাপ। যদি এসব করতেই হয়, স্ত্রী হিসেবে আমার অনেক খারাপ লাগবে। আমাদের ফ্যামিলি এবং সন্তান, কারো জন্য ভালো হবে না।

পরী মণি বলেন, সে (শরিফুল রাজ) যদি রাজ্যকে দেখতে চাবে, তাহলে আমাকেই ফোন করতো। আমি কেন তাকে ফোন করব। ফোনটা আমি করেছিলাম। অন্য একটি কারণে। তোমাকে রাস্তা-ঘাটে দেখা যাচ্ছে। ও তো পাবলিক ফিগার, কম-বেশি অনেকেই চেনে। ওর যদি এমন কিছু হয় যেটা আমাকে হাইড করে করতে হয় বা প্রকাশ্যে আসলে ওর ইমেজ অনেক প্রশ্নবিদ্ধ হবে। ওর ফ্যামিলি হিসেবে আমিও অনেক প্রশ্নবিদ্ধ হবো। এসব কাজ ও (শরিফুল রাজ) কেন পাবলিকলি করে।