ভারতের ওড়িশা রাজ্যের মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার তিন দিন পরও ১০১টি মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি।

মঙ্গলবার (৬ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভুবনেশ্বর পৌরসভার (বিএমসি) কমিশনার বিজয় অমৃত কুলাঙ্গে। খবর এএনআই ও এনডিটিভির

ভারতে দুই দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে বালেশ্বরে হওয়া সবচেয়ে প্রাণঘাতী ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭৮ জনের মৃত্যু ও হাজারের বেশি আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে এখনও প্রায় দুইশ জন উড়িষ্যার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ভারতের ইস্টার্ন সেন্ট্রাল রেলওয়ের আঞ্চলির রেল ব্যবস্থাপক রিঙ্কেশ রায় জানান, ‘দুর্ঘটনায় এক হাজার একশর মতো লোক আহত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নেয়া আনুমানিক ৯০০ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে আরও প্রায় ২০০ লোকের চিকিৎসা চলছে।’

দুর্ঘটনায় মৃত ২৭৮ জনের মধ্যে ১০১টি দেহ এখনও শনাক্ত করা যায়নি, বলেছেন রিঙ্কেশ।

ভুবনেশ্বর পৌরসভার (বিএমসি) কমিশনার বিজয় অমৃত কুলাঙ্গে বলেন, ভুবনেশ্বরে যে ১৯৩টি মরদেহ রাখা ছিল, তার মধ্যে ৮০টির পরিচয় শনাক্ত হয়েছে, ৫৫টি মরদেহ স্বজনদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। বিএমসির হেল্পলাইন নম্বর ১৯২৯-এ দুইশর বেশি ফোন এসেছে। যখনই পরিচয় শনাক্ত হচ্ছে, তখনই মরদেহ আত্মীয়-স্বজনকে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

গত শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় বালেশ্বরে শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালবাহী ট্রেনকে ধাক্কা দেয়ার পর দুর্ঘটনার সূত্রপাত হয়। ওই সংঘর্ষে করমণ্ডলের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লাইনে গিয়ে পড়ে; ওই বগিগুলোর সঙ্গে যশবন্তপুর থেকে হাওড়াগামী আরেকটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সংঘর্ষে আরও কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয়।

গত শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বালেশ্বরে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, পরে তিনি আহতদের দেখতে হাসপাতালেও যান।

দিল্লি ফিরে যাওয়ার আগে মোদী ওড়িশার এই ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে উচ্চ-পর্যায়ের একটি পর্যালোচনা বৈঠকে সভাপতিত্বও করেন।