শ্রেণিকক্ষে অসুস্থ হওয়া ছাত্রীকে হাসপাতালে নেয়ার পথেই মৃত্যু

আগের সংবাদ

গুচ্ছের ‘এ' ইউনিটের ফল প্রকাশ: পাস ৪৩.৩৫ শতাংশ

পরের সংবাদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ

রাশিয়া আর কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম মেনে নেবে না

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২৩ , ১০:০৩ অপরাহ্ণ আপডেট: জুন ৬, ২০২৩ , ১০:০৩ অপরাহ্ণ

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী বিদ্রোহের অগ্রভাগেই রয়েছে রাশিয়া। তাজিকিস্তান সফরে সোমবার (৫ জুন) এমনটিই বলেছেন আয়তনে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।

ল্যাভরভ আরও জানিয়েছেন, সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর আবারও রাশিয়ার কূটনৈতিক কর্প বিশ্বব্যাপী তাদের ব্যস্ততা বাড়াচ্ছে।

তাজিকিস্তানের শহর দুশানবেতে রুশ সেনাদের এক সামরিক ঘাঁটিতে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে আমরা আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকায় ফিরে আসছি। (এসব অঞ্চলের অনেক দেশ) এরই মধ্যে ওয়াশিংটন যে নিয়ম আরোপ করেছে, তা আমরা কখনোই মেনে নেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ধীরে হলেও নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা মুছে যাচ্ছে। উল্লেখযোগ্য-সংখ্যক দেশের মোহ কাটতে শুরু করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ রাশিয়া আর কখনোই যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ম মেনে নেবে না। যুক্তরাষ্ট্র ও তার পরাধীন মিত্ররা নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে মস্কোকে লক্ষ্যবস্তু বানাচ্ছে এবং (বিশ্ব থেকে) বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টার পরেও পশ্চিমা চাপ প্রতিরোধে রাশিয়াই সবার আগে আছে। বাস্তবতা হলো রাশিয়াকে তারা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির সমালোচনা করে ল্যাভরভ বলেন, ‘তাদের নীতির লক্ষ্য হলো বিশ্বের কিছু অংশকে অস্থিতিশীল করা, যাতে ওয়াশিংটন সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই ও নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে পারে। এভাবেই ওয়াশিংটন অন্যদের তাদের আদেশ মেনে নিতে বাধ্য করে।’

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রুশ সেনারা ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। এরপর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা ও অবরোধ আরোপ করতে থাকে। পাশাপাশি ইউক্রেনকে অস্ত্র সহায়তাও দিতে থাকে।

তবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ইউক্রেনকে দেওয়া চলমান অস্ত্র সহায়তা—এর কোনোটিই রুশ সামরিক অভিযান বন্ধ করতে পারেনি। উল্টো সবশেষ গুরুত্বপূর্ণ শহর বাখমুতের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রুশ সেনারা।

এ ছাড়া রাশিয়ার ওপর রেকর্ডসংখ্যক অবরোধের পরও তারা চীন ও ভারতে গ্যাস ও তেলের সর্বোচ্চ রপ্তানি করেছে। এমনকি মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার অবস্থান কার্যত নিরপেক্ষ রাখার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে ক্রেমলিন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়