×

মুক্তচিন্তা

যুক্তরাষ্ট্র কি বাংলাদেশে ছায়া সরকার চালাতে চায়?

Icon

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ০৪:০৪ এএম

বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনে কেউ বাধা দিলে তার বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ঘটনায় জড়িত কিংবা অন্যের হুকুমে কাজ করলেও খবর আছে! বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সাত-আট মাস বাকি। বলা হচ্ছে- বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। এ কারণেই এ নিষেধাজ্ঞা বা সতর্ক বার্তা দেয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র, মানবাধিকার সমুন্নত রাখায় বিশেষভাবে আগ্রহী। কেউ বা বলেন, ভূমণ্ডলীয় রাজনৈতিক-সামরিক কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে এর পেছনে। র‌্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার যুক্তরাষ্ট্রে সফরের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, সাধারণত কোনো দেশ, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে শাস্তি দিতে যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। আবার প্রতিশোধ গ্রহণের জন্যও এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে। ওয়াশিংটন হয়তো কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বা পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন দেখতে চায়, যা তাদের জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে। এ ক্ষেত্রে স্যাংশন বা এমবারগো হাতিয়ার হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র হয়তো চায়- এমবারগো দেয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকরা সরকারের ওপর ক্ষুব্ধ হবে এবং সরকারের ওপর চাপ দেবে নীতি ও কর্মপন্থা পরিবর্তনের জন্য। ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে তাতে বলা হয়েছে- বাংলাদেশে কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধা দিলে তার মার্কিন ভিসা মিলবে না। বিবিসির ২৬ মের এক প্রতিবেদনে ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে- এটা কঠোর সিদ্ধান্ত এবং বার্তা স্পষ্ট। জো বাইডেন প্রশাসন বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রসারে আগ্রহী। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কূটনৈতিক পন্থার বাইরে গিয়েও ওয়াশিংটন প্রয়োজনে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। আবার ভিন্নমতের যারা তারা মনে করেন, গণতন্ত্র-মানবাধিকার কিংবা মূল্যবোধ নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নজর চীন-বাংলাদেশ সম্পর্কের প্রতি। বাংলাদেশ যেন চীনের ওপর অতিমাত্রায় নির্ভরশীল না হয়ে পড়ে, সেটা যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায়। এটা জানা যে, শেখ হাসিনার সরকার ভারসাম্যের কূটনীতি বজায় রাখতে সচেষ্ট। প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি তিনি জাপান, ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, এশিয়ার দুই বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এবং বিশেষভাবে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীকে বাংলাদেশে জেনোসাইড পরিচালনায় অস্ত্র দিয়েছিল। অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থনও দেয়া হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয় যখন নিশ্চিত, তখন সে সময়ের প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন পারমাণবিক অস্ত্রবাহী সপ্তম নৌবহর পাঠিয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। পাকিস্তানি শাসকরা অনেকটা নিশ্চিত ছিল- ঝাঁকে ঝাঁকে বোমারু বিমান ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে মুক্তিবাহিনীর অবস্থানের ওপর বোমা ফেলবে। কিন্তু রাশিয়া ও ভারতের সামরিক-কূটনৈতিক পাল্টা চালে যুক্তরাষ্ট্র পিছু হটতে বাধ্য হয়েছিল। নিক্সন প্রশাসন ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে তাদের খাদ্য-অস্ত্র প্রয়োগ করেছিল। এর পেছনে আশু কারণ ছিল ফিদেল ক্যাস্ত্রোর দেশ কিউবায় চটের বস্তা (পরিমাণে যা সামান্য ছিল) রপ্তানি। যুক্তরাষ্ট্র কিউবাকে শত্রæ দেশ গণ্য করত। তাদের সঙ্গে যারা ব্যবসা করবে, তারাও শত্রæর তালিকায় পড়বে। এখন যেমন রাশিয়াকে তারা শত্রæ মনে করছে। বাংলাদেশ যেন রাশিয়ার সঙ্গে কোনো ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক না রাখে, জরুরি প্রয়োজনে খাদ্য বা তেল কিংবা রাসায়নিক সার আমদানি না করে সেটা দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি কম দামে পেলেও কোনো পণ্য আমদানি করা যাবে না কিংবা ভালো দাম পেলেও পণ্য রপ্তানি করা যাবে না। আশির দশকে এইচএম এরশাদের সামরিক-স্বৈরাচারী শাসনামলে ড. কামাল হোসেন ও ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী ওয়াশিংটন গিয়ে এরশাদ সরকারকে অর্থনৈতিক সহায়তা না দেয়ার অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাদের বলা হয়- এমন করা হলে বাংলাদেশের উন্নয়ন ব্যাহত হবে এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ক্ষতি হবে। পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে যখন বাংলাদেশের মতপার্থক্য দেখা দেয়, তখনো যুক্তরাষ্ট্র আমাদের পাশে থাকেনি। দুর্র্নীতি হতে পারে এ প্রকল্পে- এমন অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু এ বড় অবকাঠামো উদ্যোগে সরাসরি সংশ্লিষ্ট দুজন খ্যাতিমান প্র্রকৌশলী ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী ও ড. আইনুন নিশাত বাববার বলেছেন- দুর্নীতি হয়নি। শেখ হাসিনাও এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরপরও বিশ্বব্যাংক প্রতিশ্রæত ১২০ কোটি ডলার ঋণ বাতিল করে দেয়। আরো কয়েকটি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানকে তারা একই পদক্ষেপ গ্রহণে প্ররোচনা দিয়ে সফল হয়। তবে বাংলাদেশ নিজের অর্থে এ বড় অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণে সফল হয়। এর সুফল ইতোমধ্যেই মিলতে শুরু করেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২০টিরও বেশি জেলা এখন কার্যত রাজধানী ঢাকার পড়শী শহর। সর্বত্র বেড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। বিশ্বব্যাংক শেষ পর্যন্ত মেনে নিয়েছে- পদ্মা সেতু প্রকল্পে তাদের নীতি ও সিদ্ধান্তে ভুল ছিল। কানাডার আদালতেও এ বিষয়টি উঠেছিল। তাদের রায় ছিল শেখ হাসিনার পক্ষে। আর বিশ্বব্যাংক সম্পর্কে কানাডার আদালত বলেছেন- গালগল্প ও রটনা-গুজবকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। তবে আমাদের জানা আছে- বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট পদে মনোনয়ন দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমণ্ডলীয় রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামরিক স্বার্থ অবশ্যই বিবেচনায় রাখা হয়। পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজে যুক্ত ছিল চীন। সেতুর দুই পাশে রেলপথ নির্মাণের কাজেও চীন সংশ্লিষ্ট। এতে কি যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট? চীনের প্রভাব নিয়ে শঙ্কা নাকি এমন ব্যক্তি যিনি শেখ মুজিবের মতো ‘অতিমাত্রায় স্বাধীনচেতা’ কিংবা বাগে মানানো যায় না- কোনটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ? যুক্তরাষ্ট্রের এক সময়ের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট নিকারুগুয়ার স্বৈরশাসক সামোজা প্রসঙ্গে একটি মন্তব্য করেছিলেন এভাবে- ঐব [ঝড়সড়ুধ] সধু নব ধ ংড়হ ড়ভ ধ নরঃপয, নঁঃ যব’ং ড়ঁৎ ংড়হ ড়ভ ধ নরঃপয. পছন্দের লোক হলে যত অন্যায় করুক, সমস্যা নেই- এমন বার্তা কিন্তু অনেকবার বিভিন্ন দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে পেয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতিতে বলা হয়েছে- ভোটের সময় কারচুপি, ভীতি প্রদর্শন, সহিংসতা বা সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশের অধিকার থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার ঘটনা ঘটলে তারা ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু কীভাবে এটা বলবৎ করা হবে? বিএনপি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন কেবল বর্জন নয়, প্রতিহত করতে চেয়েছিল। ২০১৫ সালের প্রথম তিন মাস তারা টানা অবরোধ-হরতাল আহ্বান করেছিল। সেই বছরের ৩ জানুয়ারি খালেদা জিয়া তার অফিসের সামনে ঘোষণা করেন- ‘অবরোধ চলবে’। [সমকাল ৪ জানুয়ারি, ২০১৫] এই অবরোধ বলবৎ করা যায়নি। রাজপথে সহিংসতা হয়েছে, পেট্রল বোমায় অনেক নারী-পুরুষ-শিশুর মৃত্যু হয়েছে। অর্থনীতির ক্ষতি হয়েছে। তবে বিএনপি যে আগের বছরের নির্বাচনের ফল বাতিল করাতে চেয়েছিল, সে লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। অবরোধ সফল হয়নি, কারণ জনগণ তাতে সাড়া দেয়নি। এটাও আমাদের জানা যে বিএনপি খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘অবরোধ চলবে’- এ ঘোষণা আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত তুলে নেয়নি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনের ডাক দেয়ার পাশাপাশি বিএনপি এবং তাদের মিত্র জামায়াতে ইসলামী প্রতিহতের ঘোষণাও দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির আওতায় কি এ ধরনের অতীতের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড আসবে? তাহলে তো খালেদা জিয়া, মির্জা ফখরুল ইসলাম হবেন হুকুমের আসামি! যুক্তরাষ্ট্র বলছে- নির্দেশদাতা ও নির্দেশ পালনকারী, উভয়েই ‘শাস্তির’ আওতায় আসবে। এটা কীভাবে নির্ধারিত হবে? বাংলাদেশে প্রতিদিন শত শত সভা-সমাবেশ হয়। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক পদক্ষেপ নেয়। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে চট্টগ্রাম গিয়েছিলেন। তার ট্রাকে পুলিশ গুলি চালায়। সমাবেশেও গুলি চলে। তখন ২০-২৫ জনের মৃত্যু হয়। এইচএম এরশাদ ছিলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আবদুস সাত্তারকে সরিয়ে সামরিক আইন জারি করে ক্ষমতা নেন। চট্টগ্রামের সমাবেশে গুলি চালানোর নির্দেশদাতা স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা যদি বলতেন- আমি কাজ করেছি আইজিপির নির্দেশে? আইজিপি যদি বলতেন- যা হয়েছে তা হয়েছে এরশাদ সাহেবের নির্দেশে? এ ধরনের ঘটনা এখন ঘটলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি কী হবে? র‌্যাবের কোনো অভিযানের কমান্ডার যদি বলেন- যুক্তরাষ্ট্রে আমি প্রশিক্ষণের জন্য গিয়েছিলাম। সেখানে যেভাবে শেখানো হয়েছে, তার প্রয়োগ করেছি মাত্র। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে? কিংবা কেউ যদি বলে- সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত কাউকে তাৎক্ষণিক হত্যার অনেক ঘটনা যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নিয়মিত ঘটছে। বাংলাদেশে এমন কিছু ঘটলে সেটা কেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে? ২৬ মে কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। উভয়পক্ষে আহত হয়েছে কয়েকজন করে। পরস্পরকে এ জন্য দায়ী করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত এক বা একাধিক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা চাইলে কী ধরনের নীতি নেয়া হবে? ঘটনার জন্য কে দায়ী ছিল, সেটা জানার জন্য ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস কি নিজস্ব অনুসন্ধানী দল পাঠাবে? নাকি বাংলাদেশের কোনো এজেন্সিকে এ কাজের ভার দেয়া হবে? ঘটনায় জড়িত বিএনপির কোনো নেতা যদি বলে- কেন্দ্র থেকে নির্দেশ রয়েছে, রাজপথ উত্তপ্ত করতে ঘটনা ঘটাতে হবে? আন্দোলন জোরালো করতে লাশ চাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে- এমন টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হয়েছে অতীতে। যুক্তরাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে কী করবে? যুক্তরাষ্ট্র যে দিন ভিসানীতি প্রকাশ্যে আনে, তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের একটি টিভি চ্যানেলে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার প্রচারিত হয়। এ ক্ষেত্রে উদ্যোগী কে ছিল- আমেরিকা না সংশ্লিষ্ট টিভি কর্তৃপক্ষ? যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ঘটনায় কি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাউকে কথা বলতে ডাকা হবে? ডাকা হলে তিনি কি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ হয়, এমন কিছু বলতে পারবেন? ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনের সময় ফরিদপুরের একটি আসনে সর্বত্র শান্তিপূর্ণ ভোট হয়। কিন্তু নির্বাচনের দুদিন আগে একটি কেন্দ্রে গোলযোগ হয় এবং পুলিশ অ্যাকশনে যায়। ফলে কেন্দ্রের প্রায় ১০ হাজার ভোটারের বেশিরভাগ ভোটের দিন অনুপস্থিত থাকে। এই ভোটারদের বড় অংশ ছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এবং তারা যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়, সে জন্য পরিকল্পিতভাবে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটানো হয়েছিল বলে জোরালো মত রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কীভাবে ভিসানীতি প্রয়োগ করবে? তারা কি বাংলাদেশে এমন একটি মেকানিজম গড়ে তুলবে যার মাধ্যমে যে কোনো প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহ করা যায়? এমন ঘটলে সেটাকে আমরা ‘বিকল্প প্রশাসন’ কি বলতে পারি? নাকি ছায়া সরকার বলব? এ ধরনের ক্ষেত্রে তারা কি নিজস্ব লোকবল নিয়োগ করবে? তাদের বেতন-ভাতা কোত্থেকে আসবে? অফিস কোথায় হবে? অজয় দাশগুপ্ত : কলাম লেখক। [email protected]

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App