×

জাতীয়

পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি জাতীয় কমিশন গঠন করতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ০১:৫৫ পিএম

পরিবেশ রক্ষার জন্য একটি জাতীয় কমিশন গঠন করতে হবে

বিশ্ব পরিবেশ দিবসের আলোচনায় বক্তারা। ছবি: ভোরের কাগজ

ভারসাম্য বজায় রেখেই উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চালাতে হবে

দেশের ইকো সিষ্টেম চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কল কারখানাগুলোতে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হচ্ছে না। সব বর্জ্য নদী, খাল ও জলাশয়ে পড়ার কারণে পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটেছে। সব ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগের জন্য অপেক্ষা করলে হবে না। সিভিল সোসাইটিকে এবং প্রতিটি সাধারণ নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবর (৫ জুন) বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩ উপলক্ষে এসোসিয়েশন অফ ডেভেলপমেণট এজেন্সিস ইন বাংলাদেশ (জবাব) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। এডাব চেয়ারপারসন আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা বলেন, আমাদের সরকার প্লাস্টিকের পরিবর্তে বিকল্প হিসেবে কিছুই দিতে পারেনি। প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাটের ব্যাগ দেয়ার কথা বলা হলেও তা পরে আর কার্যকর হয়নি। এটা আমাদের জন্য বড় ব্যর্থতা। পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর কোন রাজনৈতিক অঙ্গীকার নেই। একজন শিল্পপতি নদী দখল করে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছেন। প্লাস্টিকের পণ্য উৎপাদন করছেন। আমাদের দেশে আইন আছে কিন্তু আইনের প্রয়োজন নেই, বিধি আছে কিন্তু বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয় না। সংবাদমাধ্যমগুলোতে পরিবেশ বিপর্যয়ের খবর গুরুত্ব দিয়ে প্রচার পায় না।

বক্তারা বলেন, প্লাস্টিক পণ্য কি সমস্যা তৈরি করছে তা উপলব্ধির জন্য সচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালানো সবচেয়ে বেশি জরুরী। দেশের পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে একটি জাতীয় কমিশন করা প্রয়োজন। আমরা নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করতে পারলে পরিবেশ রক্ষার জন্য কেন একটি জাতীয় কমিশন করতে পারবো না। পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি সুন্দর দেশ গড়ে তুলতে সরকারকে বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ চিন্তা করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে, বিপর্যয় রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বক্তার আরো বলেন, উন্নয়ন কর্মকান্ডকে অস্বীকার করা যাবে না। তবে সেক্ষেত্রে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। উন্নয়নের জন্য শিল্প যেরকম স্থাপন করতে হবে তেমনি শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও থাকতে হবে।

গোলটেবিল বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এডাব এর কমসূচি পরিচালক কাউসার আলম কনক। বক্তব্য রাখেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরো পরিচালক তপন কুমার বিশ্বাস, জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট হাসান হাফিজ, মিডিয়া গবেষক ও লেখক শামীমা চৌধুরী, কোস্ট ফাউন্ডেশনে নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, সিনিয়র সাংবাদিক খায়রুজ্জামান কামাল, সিনিয়র সাংবাদিক সালিম সামাদ প্রমূখ।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App