×

জাতীয়

এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ গ্রুপের নারী সদস্যরাই তার টার্গট

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৫ জুন ২০২৩, ০৯:২৮ পিএম

এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ গ্রুপের নারী সদস্যরাই তার টার্গট

রয়েছে তার নিজস্ব হেরেমখানাও

নারীদের ফাঁদে ফেলে শারিরিক সম্পর্কের গোপন ভিডিও তৈরি করে প্রতারণা করে আসছিল মো. মনির হোসাইন (৩৫)। এ কাজের জন্য রাজধানীর বাড্ডায় তিনি বানিয়েছিলেন একটি হেরেমখানাও। লোক চক্ষুর আড়ালে রাখতে সেখানে বাহিরে বাঁশের বেড়া, টিনের ঘর, দেখা গেলেও আসলে ভেতরে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) থেকে শুরু করে ছিল উন্নত শয়ন কক্ষ, এটাচ বাথরুম ও ইয়াবা সেবনের ব্যবস্থা। ছিল একাধিক গোপন ক্যামেরাও। এই ক্যামেরা দিয়েই সে তার অনৈতিক কাজের সব ছবি ও কর্মকাণ্ডের ভিডিও রেকর্ড করে রাখত। পেশায় ব্যাংকার মনির হোসাইন ছিলেন এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মডারেটর। এই গ্রুপটির সদস্য সংখ্যা ছিল প্রায় ২৭ হাজার। আর এ গ্রুপের নারীরাই ছিল তার মূল টার্গেট।

সোমবার (৫ জুন) মনির হোসাইন নামে ব্যাংক কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে এসব তথ্য জানান পুলিশের অপরাধ তদন্ত শাখার (সিআইডি) গণমাধ্যম কর্মকর্তা অতিরিক্ত এসএসপি আজাদ রহমান।

সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, সিআইডির সাইবার পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ আসে যে, এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ গ্রুপের এক নারী সদস্যকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করছেন মনির। এরই ধারাবাহিকতায় তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিললে গত রবিবার রাজধানীর রামপুরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এসময় তার কাছ থেকে কাছ থেকে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ও ছবি সম্বলিত দুটি মোবাইল ফোন, তিনটি সিম কার্ড, দুটি মেমোরি কার্ড ও দুটি গোপন ক্যামেরা জব্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, এসএসসি বন্ধন ২০০১ বাংলাদেশ গ্রুপের এডমিন হওয়ায় তার টার্গেটকৃত নারীদের গ্রুপের মডারেটর বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ভিডিও কলে কথা বলে তাদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলে। তাকে গ্রুপে আরো ক্ষমতাবান করাসহ নানাবিধ সুযোগ সুবিধা দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন জায়গায় এক সঙ্গে ঘুরে বেড়ায় ও খাওয়া-দাওয়া করে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করে। এক পর্যায়ে টার্গেটের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে কৌশলে সেই অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি ও ভিডিও করে রাখে। পরবর্তীতে সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে আরো একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে আসছিলো মনির হোসাইন। শুধু তাই নয় এ কাজের জন্য রাজধানীর বাড্ডায় তিনি বানিয়েছিলেন একটি হেরেমখানাও। লোকচক্ষুর আড়ালে রাখতে সেখানে বাইরে বাঁশের বেড়া, টিনের ঘর, দেখা গেলেও আসলে ভেতরে এসি থেকে শুরু করে ছিল উন্নত শয়ন কক্ষ, অ্যাটাচ বাথরুম ও ইয়াবা সেবনের ব্যবস্থা। ছিল একাধিক গোপন ক্যামেরাও।

অতিরিক্ত এসএসপি আজাদ রহমান বলেন, শুধু তাই নয় তার প্রতারণার ফাঁদে পা দেয়া নারীদের টাকার বিনিমেয়ে ধনাঢ্য লোকদের কাছেও পাঠাতো সে। এই কাজে ২০ হাজার টাকার বেশি নিলেও ভুক্তভোগীরা টাকার ভাগ পেতেন সামান্যই। তবে আইডির ফাঁদে তাকে শেষ পর্যন্ত হার মানতে হলো বলে জানান এসএসপি আজাদ রহমান।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App