×

জাতীয়

বড় সংকটে পড়বে আবাসন শিল্প

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৩, ০৮:৪৩ এএম

বড় সংকটে পড়বে আবাসন শিল্প

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অনেক এলাকায় ২০ লাখ টাকা প্রতি কাঠা জমির সরকারি ট্যাক্স ধরা হয়েছে। অথবা চুক্তিমূল্যের ৮ শতাংশ। এটা আগে ৪ শতাংশ ছিল। আবার শর্ত আছে যেটা বেশি হবে সেটা দিতে হবে। তার মানে কমপক্ষে কাঠাপ্রতি ২০ লাখ টাকা ট্যাক্স। ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রেও আগে ১০-১২ দশমিক ৫ শতাংশ ট্যাক্স ছিল, এটা এবার হবে ১৪-১৬ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে নিবন্ধন ব্যয়সহ নানাবিধ বাড়তি করের কারণে ভয়ংকর সংকটে পড়বে আবাসন শিল্প। গতকাল ভোরের কাগজকে এসব কথা বলেন আবাসন খাতের সংগঠন রিয়েল এস্টেট এন্ড হাউজিং এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (রিহ্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট (প্রথম) কামাল মাহমুদ।

তিনি বলেন, এবার বাজেট প্রস্তাবের পর অসংখ্য নাগরিকের ফ্ল্যাটের স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে। আমাদের বেসরকারি ডেভেলপারদের একান্ত চেষ্টায় অনেক স্বল্পবিত্ত নাগরিকও ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন। মনে হচ্ছে ফ্ল্যাট আবার উচ্চবিত্তের পণ্য হয়ে যাবে। সবার জন্য যে আবাসন- এ স্লোগান এখন স্লোগানই থেকে যাবে। জানা গেছে, আবাসন ব্যবসায়ীরা চুক্তিমূল্যের ট্যাক্স ৭ শতাংশ করার প্রস্তাব করেন। একটা সময় ১৫ শতাংশ ট্যাক্স ছিল, তখন জমি-ফ্ল্যাট বিক্রি অনেক কমে গিয়েছিল। চার বছর আগে কিছুটা হ্রাস করার পর এ ট্যাক্স ছিল ১০-১২ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত। নতুন করে ৪ শতাংশ ট্যাক্স বাড়ানোয় এ খাতে স্থবিরতা নেমে আসবে।

কামাল মাহমুদ বলেন, অধিক ট্যাক্স কালেকশন করতে গিয়ে উল্টো ট্যাক্স কমবে বলে আমাদের শঙ্কা। নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ানোসহ নানাবিধ কারণে ব্যবসা সংকটে রয়েছে, এ অবস্থায় স্বস্তির কোনো উদ্যোগ নেই বাজেটে। উল্টো জমি-ফ্ল্যাট নিবন্ধন ব্যয় বাড়ানো হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে রেজিস্ট্রেশন ব্যয় বাড়ানোর পাশাপাশি সিমেন্ট, পাথর, টাইলস, লিফট, সিরামিক, গ্লাস, সুইচ-সকেট, ক্যাবল, কিচেনওয়্যারসহ কমপক্ষে ১২-১৩টি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এসব পণ্যের দাম গিয়ে পড়বে ফ্ল্যাট ক্রেতার ওপর। ফ্ল্যাটের দাম আরেক দফা বাড়বে। সব মিলিয়ে সামনের দিনগুলোতে অনেকেই ফ্ল্যাট কেনার সক্ষমতা হারাবেন এবং আবাসন ব্যবসায়ীরা ক্রেতা হারাবেন।

তিনি বলেন, নিন্মমধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা আরো কঠিন হয়ে যাবে। মৌলিক চাহিদার অন্যতম আবাসন অনেকেই সঠিকভাবে পাবেন না। এমনিতেই ফ্ল্যাট তৈরি কমে গেছে ফলে আগামীতে ফ্ল্যাটের সংকট তৈরি হবে। যার প্রভাবে বাড়িভাড়া বাড়বে। ফলে ঢাকাসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে স্বল্পআয়ের কর্মজীবীদের কষ্ট আরো বাড়বে।

তিনি আরো বলেন, আবাসন খাত মানে শুধু আবাসন খাত নয়। এর সঙ্গে ৪ শতাধিক লিংকেজ শিল্প জড়িত। আবাসন খাতে সংকট মানে এসব উপখাতে সংকট। আবাসন খাতে ৪০ লাখ নাগরিকের কর্মসস্থান। এ খাতের সংকট অর্থনীতিতে সংকট তৈরি করবে। কাজেই বাজেট পাসের আগে এদিকে সুনজর দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App