×

সারাদেশ

প্রতীক পেয়েই মাঠে প্রার্থীরা

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৩, ০৯:৫৩ এএম

প্রতীক পেয়েই মাঠে প্রার্থীরা

সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতীক পেয়েই মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থীরা। গতকাল শুক্রবার সকালে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পরপরই নগরীর প্রতিটি অলিগলি পোস্টারে ছেয়ে যায়। শুরু হয় মাইকিং। কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করেন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ফলে নির্বাচনী প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে সিলেট। সর্বত্রই নির্বাচনী আমেজে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের পছন্দের প্রার্থী নিয়ে ভোটারদের মধ্যে চলছে আলোচনা। প্রার্থীদের সমর্থনে বিভিন্ন ওয়ার্ডে হয়েছে মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা। কোনো কোনো ওয়ার্ডে প্রার্থীরা করেছেন মিছিল মিটিং।

গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টায় সিলেট নগরীর মেন্দিবাগস্থ জালালাবাদ গ্যাস মিলনায়তনে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ফয়সল কাদের প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেন। মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী নৌকা, জাতীয় পার্টির প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল লাঙল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মাহমুদুল হাসান হাতপাখা, জাকের পার্টির জহিরুল আলম গোলাপ ফুল, স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুল হানিফ ঘোড়া, মো. ছালাহ উদ্দিন রিমন ক্রিকেট ব্যাট ও মো. শাহ জাহান মিয়া বাস প্রতীক পেয়েছেন। এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তাদের সেই বিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।

প্রতীক বরাদ্দের পরপরই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রচারণা শুরু করেন। নগরীর উপশহর এলাকায় এ সময় তিনি বিজয় চিহ্ন দেখিয়ে নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানান এবং ভোট প্রার্থনা করেন। একই সময়ে সোবহানীঘাট এলাকায় জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাবুল তার কর্মী সমর্থকদের নিয়ে লাঙল প্রতীকের প্রচারণা শুরু করেন। তিনি সিলেটকে সুন্দর ও পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়তে লাঙল প্রতীকে ভোট দেয়ার আহ্বান জানান। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা চালানোর সময় তার সমর্থক রাইয়ান আহমদের উপর নৌকার সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছে। ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সরুজ মিয়ার নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

ইসলামী আন্দোলনের মেয়র প্রার্থী মাহমুদুল হাসান জিন্দাবাজার এলাকায় প্রচারণা শুরু করে সাংবাদিকদের বলেন, সিলেট সিটি করপোরেশনে গত ২০ বছরে যে উন্নয়ন হয়নি, নির্বাচিত হলে তিনি তার চেয়ে বেশি করবেন। তিনি নির্বাচিত হলে হোল্ডিং ট্যাক্স ২০ শতাংশ কমানো ও ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স পেতে বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি দিতে উদ্যোগ নেবেন।

সিসিক নির্বাচনে এবার ৭ জন মেয়র প্রার্থী লড়ছেন। ৪২টি ওয়ার্ডে এবার মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ১৯০টি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App