×

জাতীয়

গণতন্ত্র উদ্ধারে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৩, ০১:২৬ পিএম

গণতন্ত্র উদ্ধারে সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে

ছবি: ভোরের কাগজ

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদীন ফারুক বলেছেন, স্বাধীনতার পর প্রথম যারা গণতন্ত্র হত্যা করেছেন, এখনো সেই তারাই আবার দেশের গণতন্ত্র হত্যা করেছেন। দেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নাই, সমালোচনার স্বাধীনতা নাই, দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতির বিষয়ে কথা বলার স্বাধীনতা নাই, অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলার স্বাধীনতা নাই। তাই গণতন্ত্র ও বাক স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে হলে সব বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের পথ উম্মুক্ত হবে। জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে।

সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি এন্ড পিস স্টাডিজ আয়োজিত "গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কোন পথে" শীর্ষক আলোচনা সভায় শুক্রবার এসব কথা বলেন তিনি। জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণমুক্তি জোটের চেয়ারম্যান ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদের সভাপতিত্বে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, সাবেক সচিব কাশেম মাসুদ ও গণমুক্তি জোটের প্রধান সমন্বয়ক আবু লায়েম মুন্না প্রমুখ বক্তব্য দেন।

ফারুক বলেন, গণতন্ত্রের জন্য সব দলকে ঐক্যবদ্ধ হযে কাজ করতে হবে। গণতন্ত্র মানে হলো কথা বলা স্বাধীনতা দিতে হবে। সমালোচনার স্বাধীনতা দিতে হবে। প্রশাসনকে স্বাধীনতা দিতে হবে। রাজৈনতিক লেজুড়বৃত্তি থেকে প্রশাসনকে আলাদা করতে হবে। সরকারকে উদ্দেশ্য করে ফারুক বলেন, নির্বাচনে তো আমরা যেতে চাই, কিন্তু কার অধীনে, কিভাবে? বর্তমান পদ্ধতিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আর অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে আপনাদের পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ ভেঙে দিতে হবে। তবেই কেবল লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হবে। সমস্যা আপনারাই (সরকার) তৈরি করেছেন, এখন আপনাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে। আর যদি সমাধান না করেন, তাহলে আপনারাই ভয়াবহ সংকটে পড়বেন। কারণ পৃথিবীর কোনো স্বৈরাচারই ক্ষমতায় সারা জীবন থাকতে পারেনি। আপনারাও পারবেন না। তখন আপনাদের জবাবদিহীতার পরিধি অনেক লম্বা হবে৷ কারণ আপনারা এত বেশি সংকট তৈরি করেছেন যে, সেখান থেকে আপনাদের বেরিয়ে আসা অসম্ভব। আপনারা চাইলে এখনো সেফ এক্সিট নিতে পারেন। তাই পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হোক, সেটাই কামনা করি।

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, স্বাধীনতার এত বছর পরও দেশে মানুষের ভোটের অধিকার এখনো স্বীকৃত নয়। গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়াটা একটা তামাশায় রূপ নিয়েছে। নজিরবিহীনভাবে ২০১৮ সালে রাতের আধারে নির্বাচন করে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করলেন, এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্রকে কবরে পাঠালেন। অথচ, আপনাদের বিন্দুমাত্র লজ্জা করছে না। এখন আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চত করতে হবে। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিয়ে সুষ্ঠু বা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন প্রমাণ করা যাবে না। কারণ এখানে সরকার পরিবর্তনের কোনো বিষয় নেই। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হলে একটা নির্বাচনকালীন সরকার দরকার। সেই সরকারের নাম কি দিবেন, সেটা সবাই মিলে বসে ঠিক করা যাবে। তবে নির্বচনের আগে সরকারকে অবশ্যই পদত্যগ করতে হবে। এখানে কোনো ছাড় নয়। সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যদি মনে করেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটা ভুয়া করে ফেলবেন, তা এবার পারবেন না।

এবার জোর করে নির্বচন করলে গোটা দেশ সঙঘাত সংঘর্ষের দিকে চলে যাবে, এবং আফ্রিকা অঞ্চলের বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রগুলোর মতো বাংলাদেশ একটা বিশৃঙ্খলা রাষ্ট্রে পরিনত হবে। দীর্ঘ মেয়াদী অকার্যকর রাস্ট্রে পরিনত হবে। এ পরিস্থিতে আগামি দুই তিন মাসের মধ্যে এখানে (বাংলাদেশে) রামরাজত্য থাকবে নাকি জনগণের রাজত্য কায়েম হবে তা নির্ধারিত হবে। এ প্রেক্ষাপটে সবাইকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App