×

অর্থনীতি

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি বেসরকারি পার্টনারশীপ জরুরি

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০৯:৪৯ পিএম

লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারি বেসরকারি পার্টনারশীপ জরুরি

বিদ্যমান সংকটময় ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্থিতিশীল করতে সরকার এ বিশাল আকৃতির বাজেট প্রণয়ন করেছে। তবে, দেশীয় অর্থনীতিতে বেসরকারি বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সুযোগ তৈরি, রাজস্ব ঘাটতি মেটানো ও অর্থায়ন নিশ্চিতকরণ, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রিজার্ভ স্থিতিশিলতা আনায়নে আমরা বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছি তা মোকাবেলা করে বাজেটের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সরকারি-বেসরকারি পার্টনারশীপ জরুরী। প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪ এর উপর তাৎণিক প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার (১ জুন) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)-এর সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত ব্যক্তিগত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে, তবে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে সেটাকে ৫ লাখ টাকা করা প্রয়োজন ছিল। এছাড়াও করযোগ্য নয় এমন টিনধারীদের উপর নূন্যতম ২০০০ টাকা আয়কর আরোপের সিদ্ধান্ত, উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীর উপর করের বোঝা তৈরি করবে, তাই এ প্রস্তাব প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। কর আদায়ের জন্য এজেন্ট নিয়োগের বিষয়ে একটি সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করে এজেন্টদের কার্যক্রম পর্যবেনের আওতায় রাখলে করজাল বৃদ্ধি পাবে বলে, আমরা বিশ্বস করি। ভ্যাট টার্নওভারের সীমা বৃদ্ধিসহ ভ্যাট রিটার্ন ও অডিট প্রক্রিয়া অটোমেশনের করা প্রয়োজন। এছাড়াও রাজস্ব আহরণের ল্যমাত্রা অর্জনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ব্যবসায়ীদের মধ্যকার পার্টনারশীপ বাড়নোর প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

মো. সামীর সাত্তার বলেন, কর্পোরেট কোম্পানীর উইথহোল্ডিং কর রিটার্নের সংখ্যা ২৯টির পরিবর্তে ১২টিতে নামানোর সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। তবে, ডিসিসিআই মনে করে কর্পোরেট করের হার না কমানোর ফলে আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশে পিছিয়ে পড়বে। কর্পোরেট করের হার এবং ক্যাশ লেনদেনের সীমা ৩৬ লাখ টাকার পরিবর্তে বার্ষিক খরচের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। তাই বিষয়টি পুণঃবিবেচনার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও নন-লিস্টেড কোম্পানীর কর হার ২.৫% হ্রাস করা প্রয়োজন।

স্থানীয়ভাবে মোবাইল ফোনের উৎপাদনের উপর ভ্যাট আরোপের কারণে এর উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাবে, ফলে আমাদের উদ্যোক্তারা তিগ্রস্থ হবে, তাই এটা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। এছাড়াও সফটওয়্যার, ইলেটকট্রনিক্স, সোলার এনার্জি, লিফট ও লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি খাতের পণ্যের উপর আমদানি শুল্ক ১০% থেকে ১৫% বৃদ্ধির কারণে এখাতসমূহে স্থানীয় শিল্পের সম্প্রসারণের সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি বলেন, জ্বালানী খাতে মূল্য সহনীয় রাখতে বাজেটে ১৩ ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য আমদানিতে ট্যারিফ ভ্যালু ও ভ্যাট প্রত্যাহরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছে ডিসিসিআই এবং ডিজেল আমদানিতে ৫% ডিউটি কমানোর পাশাপাশি উৎসে কর সমন্বয় করার বিধানের কারণে তেলের মূল্য কমবে, যেটি মূল্যস্ফীতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সারের দাম কম রাখতে গ্যাসের মূল্য কমানোর পাশাপাশি এ খাতে ব্যবহৃত ডিজেলে দাম কমানো প্রয়োজন এবং কৃষিখাতের আধুনিকায়নে যন্ত্রপাতি আমদানিতে কর অব্যাহত অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।

বাজেটে ব্যাংকিং খাত হতে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা নেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা আগের বছরের চেয়ে ১৪.৭০ শতাংশ বেশি। সরকারের এ ব্যাংক নির্ভরতা বৃদ্ধির কারণে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হওয়ার পাশাপাশি খেলাপী ঋণ বৃদ্ধি পাবে। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ানো এবং বাণিজ্য ঘাটতি দূর করতে ব্যাগেজ রুল সংশোধন ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি করতে সহায়তা করবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App