×

জাতীয়

মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০৯:০৬ পিএম

https://www.youtube.com/watch?v=-54N62G3nQw

রাজনীতি ও সাংবাদিকতার মিথস্ক্রিয়ার পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব ছিলেন মানিক মিয়া: শ্যামল দত্ত

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত এবং দেশি-বিদেশি প্রতিক্রিয়াশীল অপশক্তি তাকে হত্যা করে। এখন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন দেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে, তখনো স্বাধীনতাবিরোধীরা জঙ্গিগোষ্ঠিকে সঙ্গে নিয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এই দেশবিরোধী অপশক্তির হাতে দেশকে তুলে দেয়া হবে না। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টি (জেপি) আয়োজিত সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার ৫৪তম মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। জেপি’র মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, সাংবাদিক নেতা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাসস পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, জেপির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাদেক সিদ্দিকী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এনামুল ইসলাম রুবেল।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি তাহলে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। দেশকে সমৃদ্ধির পথে, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায়, মানিক মিয়াদের স্বপ্নের ঠিকানায় আমরা পৌঁছাতে পারবো।

প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটি ২০০৯ সালের বাজেটের তুলনায় সাড়ে ৯ গুণ বেশি। ২০০৯ সালে আমাদের জিডিপির আকার ছিলো একশ’ বিলিয়ন ডলার, আর আজকে জিডিপির আকার হচ্ছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার প্লাস অর্থাৎ প্রায় ১০ গুণ। দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে বাজেটের পরে গতানুগতিক একটা বক্তব্য দেবে, এটা গত ১৪ বছর ধরে দেখছি। তারা বলে- এই বাজেট উচ্চভিলাষী, বাস্তবায়নযোগ্য না, জনগণের কল্যাণ আনবে না-এইসব। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে এই সব বাজেট গত ১৪ বছর ধরে আমরা বাস্তবায়ন করেছি, বাস্তবায়নের হার ৯৭ শতাংশ। করোনা মহামারির মধ্যেও সব মিলিয়ে ৯৫ শতাংশের কাছাকাছি ছিলো।

মানিক মিয়ার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তান সরকার ইত্তেফাক বন্ধ করে দিয়েছিলো, মানিক মিয়াকে গ্রেপ্তারও করেছে। কতটুকু রোষানল থাকলে সেটি করা হয়! এই গ্রেপ্তার রাজনৈতিক কারণেই, অন্য কোনো অভিযোগ ছিলো না। সুতরাং মরহুম মানিক মিয়া আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে, যে পথ ধরেই স্বাধীনতা সংগ্রাম, সেই ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন।

জাতীয় প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, সাংবাদিকতার তিন মহান ব্যক্তি ছিলেন আবদুস সালাম, জহুর হোসেন চৌধুরী ও তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া। তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার রোলটি একটু ব্যতিক্রম। মানিক মিয়ার লেখা ‘পাকিস্তানে রাজনীতির ২০ বছর’ বইয়ে দেখার চেষ্টা করছি- আমরা যে সাংবাদিকতা করি আর আমাদের পূর্বসূরীরা যে সাংবাদিকতা করেছেন এই দুয়ের মধ্যে কতটুকু মিল বা অমিল ছিল? মুক্তিযুদ্ধপূর্ব সাংবাদিকতাটা ছিল অনেকটা রাজনীতি ও সাংবাদিকতার এক ধরণের মিশ্রণ বা এক ধরণের মিথস্ক্রিয়া। তার কারণটি হচ্ছে তখন রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবি, সংস্কৃতিকর্মী, চিত্রশিল্পি, চলচ্চিত্রকার, লেখক, কবি, সাহিত্যিক-যে যার জায়গা থেকে সবার লক্ষ্য ছিল একটাই। আর সেটা হচ্ছে বাঙালির জন্য একটা দেশ সৃষ্টি করতে হবে। তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া রাজনীতি ও সাংবাদিকতার মিথষ্ক্রিয়ায় পথিকৃৎ ব্যক্তিত্ব ছিলেন। গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী বলেছিলেন, আমার রাজনীতির মাঠ দিয়েছি শেখ মুজিবকে আর কলম দিয়েছি মানিক মিয়াকে। স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় তাই এই দুই ব্যক্তিত্বের অবদান অবিস্মরণীয়।

শ্যামল দত্ত বলেন, বাংলাদেশের সাংবাদিকতা জগতের কীর্তিমান এই পুরুষ ১৯৬৯ সালে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে মারা যান। যদিও তার মৃত্যু নিয়ে আছে নানা রহস্য।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App