×

সারাদেশ

পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০৮:২৯ পিএম

পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান বকুল

পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনিতে পাথর উৎপাদনে নতুন রেকর্ড

ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর)

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া খনি থেকে গত মে/২০২৩ মাসে রেকর্ড পরিমাণ ১ লাখ ৩৮ হাজার টন পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। এর আগে কখনই একমাসে এতো বিপুল পরিমাণ পাথর উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। খনির উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালন ঠিকাদার জিটিসি খনি ভূগর্ভে অত্যাধুনিক ও বিশ্বমানের মাইনিং ইক্যুইবমেন্ট বসানোর পাশাপাশি ইউরোপিয়ান সুদক্ষ প্রকৌশলীদল ও দক্ষ খনি শ্রমিকদের নিরলস প্রচেষ্টায় এটা সম্ভব হয়েছে।

জানা গেছে, ২০০৭ সালের ২৫ মে মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনি বাণিজ্যিক উৎপাদনে যায়। উৎপাদন শুরুর পর থেকে নানা প্রতিকুলতার কারণে পেট্রোবাংলা প্রতিদিন তিন শিফটে ৫ হাজার মে. টন লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এক শিফটে গড়ে ১ হাজার মে. টন পাথর উত্তোলন করে আসছিল। এরফলে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত ৬ বছরে খনিটি লোকসান দিয়েছে প্রায় শত কোটি টাকা।

এ অবস্থায় ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৬ বছরের জন্য খনির উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয় বেলারুশের জেএসসি ট্রেস্ট সকটোস্ট্রয় ও দেশীয় একমাত্র মাইনিং কাজে অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া করপোরেশন লিমিটেড নিয়ে গঠিত জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামকে (জিটিসি)। বর্তমানে খনি ভূগর্ভে অত্যাধুনিক ও বিশ্বমানের মাইনিং ইক্যুইবমেন্ট বসানো হয়েছে। ইউরোপিয়ান সুদক্ষ প্রকৌশলীদল ও দক্ষ খনি শ্রমিক দিয়েক পাথর উত্তোলন কাজ চালানো হচ্ছে।

[caption id="attachment_435856" align="aligncenter" width="1453"] ছবি: মোস্তাফিজুর রহমান বকুল, পার্বতীপুর (দিনাজপুর)[/caption]

জিটিসির হাত ধরে খনিটি গত ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে প্রথমবারের মত লাভের মুখ দেখে। জিটিসি পূর্ণমাত্রায় পাথর উৎপাদন করায় টানা চার অর্থবছর থেকে মুনাফা করে আসছে খনিটি।

জিটিসির প্রথমদফা চুক্তির মেয়াদ শেষ হয় ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর। নিয়ম অনুযায়ী চুক্তি শেষ হওয়ার কমপক্ষে ৬ মাস আগে নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার কথা। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের কারণে ৭ দফা আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেও বিদেশিদের তেমন সাড়া মেলেনি।

এ অবস্থায় খনির পাথর উৎপাদন অব্যাহত রাখার স্বার্থে এবং জিটিসি’র পারফরমেন্স বিবেচনায় নিয়ে গত ২০২১ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফা চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তবে চুক্তি কার্যকর করা হয় গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে।

দ্বিতীয়দফা চুক্তি অনুযায়ী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৬ বছরে প্রায় ১ হাজার ২৮০ কোটি টাকার বিনিময়ে ৮৮ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করে দিবে। জিটিসি সুষ্ঠুভাবে খনি পরিচালনা করতে পারলে একদিকে দেশের পাথরের চাহিদার অনেকটাই পূরণ হবে, অপরদিকে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়সহ বেকার সমস্যারও অনেকটা সমাধান হবে।

মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (এমজিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আবু দাউদ মো. ফরিদুজ্জামান বৃহস্পতিবার ভোরের কাগজকে জানান- গত মে/২০২৩ মাসে খনি থেকে উত্তোলন করা হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার টন পাথর। সকলের সহযোগিতা থাকলে বর্তমান লক্ষ্যমাত্রা ৮৮ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন পাথর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App