×

সারাদেশ

নির্বাচিত হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করব

Icon

কাগজ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২৩, ০৯:২৩ এএম

নির্বাচিত হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করব

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, আমি নির্বাচিত হলে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করব। আওয়ামী লীগ সব সময়ই এই দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে রাজনীতি করে। আমি ওই দলের একজন সদস্য হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে সেই কাজটিই করব। তিনি আরো বলেন, অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন করতে আমি এ অঞ্চলে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনে কাজ করেছি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের তরুণ সমাজের কর্মস্থানের জন্য এই কাজ করেছি। এ সব কর্মসংস্থান সৃষ্টির সব কাজ এখনো শেষ করতে পারিনি। আমাকে আরেকবার সুযোগ দিলে আমি যতটা অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করে দিব, ইনশাল্লাহ।

গতকাল বুধবার নগরীর ২১, ২২ ও ২৩নং ওয়ার্ডে এবং ডাকবাংলো এলাকায় দিনের প্রথমার্ধে এবং বিকালে নিরালায় খুলনার ডুমুরিয়াবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, কাজী বেলায়েত হোসেন, হালিমা ইসলাম, আলী আজগর মিন্টু, কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, রোকেয়া রহমান, তাজুল ইসলাম, সাজ্জাদুর রহমান সাজু, রিয়াজ মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম। অপরদিকে বিকাল ৬টায় হোটেল কদর থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গণসংযোগ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, তসলিম আহমেদ আশা, জাহিদুল হক, মো. মোতালেব মিয়া, শেখ জাহিদুল ইসলাম, মো. নজরুল ইসলাম, মঈনুল ইসলাম নাসির, টি এম আরিফ, মো. জাকির হোসেন।

এদিকে বিকাল ৫টায় মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক নিরালায় ডুমুরিয়াবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় ও গণসংযোগ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- মোস্তফা কামাল খোকন, শাহনেওয়াজ হোসেন জোয়ার্দার, খান শাকুর আহমেদ, সরদার আব্দুল গনি, ডা. হিমাংশু বিশ্বাস, হযরত শেখ, নারায়ণ মল্লিক, রামপ্রসাদ জোয়াদ্দার, আসফর হোসেন জোয়াদ্দার, শেখ রবিউল ইসলাম, আদিত্য মণ্ডল, শেখ আকরাম হোসেন, উবায়দুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস, নজরুল ইসলাম সরদার, হাসনা হেনা, শামীম সরদার, হালিম মাঝি, নাসির গাজী, লাভলু সরদার, শাহীন হালদার, আশরাফুল আলম রাজু, শাহবুবুল আলম খালিদ, দাউদ আলীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অন্যদিকে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা বলেছেন, নির্বাচন হচ্ছে আস্থার বিষয়। ভোটারদের প্রতি সেই আস্থা সৃষ্টি করতে হবে। আর ভোটাররা এখন ভোট দিতে আস্থা ফিরে পেয়েছে। সে কারণেই তারা সবকিছুকে ছাপিয়ে সংকল্প করেছে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার। তিনি আরো বলেন, আজ সাধারণ ভোটাররা আওয়ামী লীগ তথা শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা ফিরে পেয়েছে। সঙ্গত কারণে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের আমানত পবিত্র ভোট দিয়ে সেই আস্থার বাস্তবায়ন ঘটাবে। তিনি বলেন, ভোটাররা আজ মনে করে শেখ হাসিনার কাছে দেশ, গণতন্ত্র ও সংবিধান সুরক্ষিত। সেই আস্থার জায়গা থেকে গণতন্ত্র ও সংবিধান রক্ষায় জনগণ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নৌকায় ভোট দেয়ার সংকল্প করেছে। ইনশাল্লাহ ১২ জুনের নির্বাচনে নৌকা বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে পুনরায় কাজ শুরু করবেন।

গতকাল বুধবার দিনব্যাপী তিনি সদর থানার ২৪, ২৭, ২৮ ও ৩০নং ওয়ার্ডে, সোনাডাঙ্গা থানার ১৬নং ওয়ার্ডে এবং দৌলতপুর থানার ৪, ৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভায় এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও দলীয় প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু সকাল ১০টায় নগরীর ১নং কাস্টমঘাট এলাকা থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। ওই এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চান তিনি। পরে তিনি রিকশা, ইজিবাইক চালক, দোকনদারসহ নানা শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গণসংযোগ চলাকালে বিভিন্ন স্থানে পথসভাও করেন জাতীয় পার্টির এই মেয়র প্রার্থী।

এ সময় মধু ভোটরদের উদ্দেশে বলেন, নগরের উন্নয়নে জাতীয় পার্টির কোনো বিকল্প কিছু নেই। নির্বাচনে মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আগামী ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সাধারণ মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে তিনি এবার নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে উল্লেখ করেন। পথসভা ও জনসংযোগে অন্যদের মধ্যে ছিলেন- গাউছুল আজম, আশফাকুল ইসলাম সেলিম, প্রিন্স হোসেন কালু, মোল্লা সাইফুল ইসলাম, রিপন শেখ, আকরামুজ্জামান খান, রাজ্জাক হাওলাদার, বাবুল হাসান, মাসুদ হাসান, খান মাহতাব উদ্দিন, তাইজুল ইসলাম, দিলরুবা খাতুন, মো. মিলন খান, রেবেকা খানম, কামাল হোসেন সেন্টু, চৌধুরী আজিজুল হক মনি, এস কে রব, মো. জাকির ফারুক, মোল্লা রাজ্জাক, খান শহিদুল ইসলাম, মিন্টু গাজী।

অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত হাতপাখার মেয়র প্রার্থী আব্দুল আউয়াল বলেছেন, নাগরিক জনপ্রশাসন হিসেবে সিটি করপোরেশনে সুশাসনই প্রধান বিবেচ্য। কারণ সুশাসন না থাকলে স¤পদ, দক্ষতা, জনবল সবই নেতিবাচক উপাদানে পরিণত হয়। তারপরও আজকের অবস্থার জন্য মূলত দায়ী সুশাসনের অভাব। আমি মেয়র নির্বাচিত হলে প্রথম যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে তা হবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও খোলাফায়ে রাশেদা থেকে প্রাপ্ত সুশাসন নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, কেসিসির মেয়র নির্বাচিত হলে শুধু দুর্নীতি দমন নয়, দুর্নীতি নির্মূলকরণ কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে যে কোনো মূল্যে কেসিসিকে দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজি মুক্ত করে সর্বোচ্চ নাগরিক সেবা প্রদান করব, ইনশাআল্লাহ। গতকাল বুধবার সকাল থেকে নগরীর খানজাহান আলী ও দৌলতপুর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। পথসভায় তিনি নাগরিক সেবা প্রদানে নির্বাচনী অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেন, আমি নির্বাচিত হলে মানবিক কারণে পায়ে চালিত রিকশা-ভ্যান ও ঠেলাগাড়ির লাইসেন্স ফি মওকুফ করা হবে। ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক এবং জ্বালানি তেলচালিত মাহেন্দ্রাসহ অন্যান্য হালকা যানসমূহের লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে। ওই লাইসেন্স শুধু প্রকৃত ড্রাইভারদেরই দেয়া হবে। খুলনা সিটির বিভিন্ন গাড়ির স্ট্যান্ড ও মালামাল ওঠানামার ঘাটসমূহে সব ধরনের চাঁদাবাজি বন্ধ করা হবে। ৩০% হোল্ডিং ট্যাক্স মওকুফ করা হবে। ট্রেড লাইসেন্স ফি অর্ধেক করা হবে।

সাবস্ক্রাইব ও অনুসরণ করুন

সম্পাদক : শ্যামল দত্ত

প্রকাশক : সাবের হোসেন চৌধুরী

অনুসরণ করুন

BK Family App